পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ
অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখা যায় ময়মনসিংহ স্টেশনে। এদিন ভোরে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল হাওর এক্সপ্রেস। ময়মনসিংহে আসার পর যাত্রীভর্তি ট্রেন রেখেই ইঞ্জিন থেকে নেমে চলে যান চালক। স্টেশন মাস্টারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন যাত্রীরা। ট্রেন বন্ধ থাকার সুযোগে বাসের ভাড়াও নিমেষে দ্বিগুণ, তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে যাচ্ছে দেখে ট্রেনযাত্রীদের জন্য সরকারি বাসের ব্যবস্থা করে প্রশাসন। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় এতটাই কম ছিল যে, খুব একটা লাভ হয়নি। জটিলতা কাটাতে তড়িঘড়ি আন্দোলনরত কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রেলের আধিকারিকরা। শেষ খবর পর্যন্ত সেই বৈঠকও নিষ্ফলা। ফলে কবে ফের ট্রেন চলাচল শুরু হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ট্রেনচালক, সহকারী চালক, গার্ড, টিকিট পরিদর্শকের মতো ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত কর্মীরা (রানিং স্টাফ) দীর্ঘদিন ধরেই অতিরিক্ত সময়ে কাজের জন্য বেতন ছাড়াও অতিরিক্ত টাকা পেতেন। এছাড়া অবসরের সময় বাড়তি কিছু সুবিধা মিলত। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এব্যাপারে কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়। সেই সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে নিয়ে পুরনো ব্যবস্থা ফেরাতে হবে—মূলত এই দাবিতেই আন্দোলনে রেলকর্মীরা। আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর কর্মীরা বলেন, ‘ন্যায্য অধিকারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার অন্তত সেই দাবিগুলি নিয়ে চিন্তাভাবনার আশ্বাস দিলেও ধর্মঘট তুলে নেবেন। কিন্তু সেই আশ্বাসটুকুও তাঁদের দেওয়া হচ্ছে না।’ যদিও আন্দোলনকারী রানিং স্টাফদের সঙ্গে যে কোনও সময় আলোচনায় বসতে সরকার প্রস্তুত বলে দাবি করেছেন রেল উপদেষ্টা মহম্মদ ফাওজুল কবির খান।
শুধু রেল নয়, ন্যূনতম মজুরির দাবিতে সাভারে ধর্মঘট শুরু করেছেন ট্যানারি শ্রমিকরাও। এদিন সকাল থেকে রাস্তায় তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। আবার খুলনায় শ্রমিক নেতাকে গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে তিনদিন ধরে ধর্মঘট পালন করছেন জ্বালানি তেলবাহী ট্যাঙ্কার চালক ও খালাসিরা। ফলে অন্তত ১৫টি জেলায় মজুত জ্বালানি তেলের পরিমাণ তলানিতে এসে ঠেকেছে। অনেক পেট্রল পাম্পেই এদিন তেল পাওয়া যায়নি।