হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালের সুপার পার্থপ্রতিম গুহ বলেন, ‘শৌচালয়ে যাওয়ার নাম করে রাত ১০টার পর উধাও হয়ে যায়। বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই বিধাননগর উত্তর থানাকে জানানো হয়েছে।’ এক পুলিস আধিকারিক বলেন, ‘খোঁজ চলছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে।’
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিধাননগর হাসপাতালে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেয় নাবালিকা। জানা গিয়েছে, তার মা নাগাল্যান্ডের বাসিন্দা। এখনও তিনি নাগাল্যান্ডেই থাকেন। বাবা থাকেন এখানে। তবে তিনি মেয়েটির আসল বাবা নাকি সৎ বাবা, তা জানে না কেউ! বাগুইআটিতে বাবার সঙ্গে থাকত মেয়েটি। মায়ের সূত্র ধরেই নাগাল্যান্ডের এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। প্রেমের ফাঁদ পেতে নাবালিকাকে নাগাল্যান্ডে নিয়ে গিয়ে আংটি বদল করে সেই যুবক। কয়েকমাস আগে নাগাল্যান্ড থেকে চলে আসে নাবালিকা।
এক্ষেত্রে মেয়েটির বাবা পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেননি কেন? প্রসবের পর হাসপাতাল কি পুলিসকে জানিয়েছিল? কাউন্সিলার প্রসেনজিৎ নাগ বলেন, ‘আমি মঙ্গলবার সকালে পুলিস কমিশনার, জেলাশাসক এবং চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিকে জানালাম। তারপর কী করে ওই রাতেই নাবালিকা হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে গেল? অভিযোগের পরেও পুলিস পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেনি। নাবালিকার নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তারা বাবারও খোঁজ মিলছে না!’ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারপার্সন সহেলি রায়চৌধুরী বলেন, ‘আমি মঙ্গলবার রাতেই বাগুইআটি থানাকে জানিয়েছিলাম ঘটনাটা। হাসপাতালকেও গুরুত্ব দিতে বলেছিলাম। হাসপাতালের গাফিলতির জন্যই এই ঘটনা ঘটল। সদ্যোজাতকে আমরা হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করব।’ প্রসঙ্গত, বাগুইআটি থানার পুলিস তদন্তের জন্য মঙ্গলবার রাতেই বিধাননগর হাসপাতালে পৌঁছয়। কিন্তু তার আগেই নাবালিকা উধাও হয়ে গিয়েছে!