হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার বিমানবন্দরে ওৎ পেতে ছিলেন ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স (ডিআরআই)-এর আধিকারিকরা। অভিনেত্রীকে আটকে শুরু হয় তল্লাশি। আর এতেই খোঁজ মেলে লুকনো সোনার। বাজেয়াপ্ত করা হয় ১৪ কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের সোনা। গ্রেপ্তার করা হয় রন্যাকে। তাঁকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর নেপথ্যে বড় কোনও পাচারচক্র রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, বেশ কিছু সোনা নিজেই পরেছিলেন রন্যা। আর বাকি সোনা কাপড়ের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিলেন।
দিন কয়েক ধরেই রন্যার উপর নজর রেখেছিল ডিআরআই। এরইমাঝে গত ১৫ দিনে চারবার দুবাই যান তিনি। তদন্তকারী আধিকারিকদের সন্দেহ এতে আরও বাড়ে। সোমবার গোপন সূত্রে তাঁর বেঙ্গালুরুতে ফেরার খবর পেয়ে বিমানবন্দরে হানা দেয় ডিআরআই। রন্যা বের হতেই তাঁকে আটকানো হয়। প্রাথমিকভাবে পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেন অভিযুক্ত। আইপিএস অফিসারের কন্যা বলে নিজের পরিচয় দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত এভাবে সোনা পাচারের চেষ্টা সফল হল না।
ইতিমধ্যেই রন্যার বাড়িতে ওতল্লাশি চালানো হয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, এই সোনা পাচারের সঙ্গে তাঁর স্বামীও জড়িত থাকতে পারে। পুরো ঘটনায় স্তম্ভিত রন্যার সৎ বাবা রামাচন্দ্র রাও। তিনি বলেছেন, পুরো ঘটনার কিছুই তাঁর জানা নেই। কারণ, মেয়ের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই তাঁর। এখন সে আলাদাভাবে স্বামীর সঙ্গে থাকে। তাই তারা কী করে, সে ব্যাপারে তাঁর কোনও ধারণা নেই। রামাচন্দ্র বলেছেন, ‘শুধু এটুকু বলতে আমার পুরো কেরিয়ারে কোনও কালো দাগ নেই। আইন আইনের পথে চলবে।’
কে এই রন্যা রাও?
১৯৯৩ সালের ২৮ মে কর্ণাটকের চিকামাগালুরুতে জন্ম
বাবা সিনিয়র আইপিএস অফিসার কে রামাচন্দ্র রাও
ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা বেঙ্গালুরুতে
২০১৪ সালে মাণিক্য সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে গ্ল্যামার দুনিয়ায় অভিষেক
২০১৬ সালে তামিল ছবি ওয়াঘাতেও দেখা গিয়েছিল
২০১৭ সালে কমেডি ছবি পাটাকি-তেও অভিনয় করেন