দেরাদুন: দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডে চালু হয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি)। এরইমধ্যে নয়া বিধিতে হয়রানিরও অভিযোগ উঠেছে। শেষপর্যন্ত এই বিধির ফলে নিগ্রহের শিকারদের স্বস্তি দিল উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট। কর্তৃপক্ষের গৃহীত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তাঁদের আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার অনুমতি দেওয়া হল। রাজ্যের নয়া আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের একগুচ্ছ পিটিশনের শুনানিতে শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি জি নরেন্দ্র বলেছেন, ইউসিসি-র আওতায় যদিও কেউ শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখে পড়েন, তাহলে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন। সেব্যাপারে শুনানি হবে। এই মামলায় ইতিমধ্যেই উত্তরাখণ্ড সরকারকে নোটিস দিয়েছে আদালত। মিথ্যা অভিযোগ দায়েরের মাধ্যমে বিধির অপব্যবহার নিয়ে এর আগে রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিতে হয়েছিল।বৃহস্পতিবার সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়, নয়া আইনে পুলিসের কাছে ভুয়ো অভিযোগ দায়ের করলে জরিমানা দিতে হবে।
গত ২৭ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডে ইউসিসি চালু হয়। এই বিধি অনুসারে, বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, সম্পত্তির উত্তরাধিকার বা দত্তক সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্ত সম্প্রদায়ের জন্য একই আইন প্রযোজ্য হবে। এই বিধির পক্ষে ও বিপক্ষে মতামত উঠে এসেছে। আর এই বিধির আওতায় লিভ-ইন সম্পর্কে বাধ্যতামূলক রেজিস্ট্রেশনের সংস্থান নিয়ে জোর বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তা প্রাপ্তবয়স্কদের অধিকারের উপর লাগাম টানার প্রচেষ্টা বলে অনেকেই সমালোচনায় সরব। তাঁদের বক্তব্য, বিজেপি সরকারের এই বিধিতে ব্যক্তি স্বাধীনতা, মহিলাদের অধিকার ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।