কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
সংসদে ভাষণ দেবেন, গান্ধী পরিবারকে খোঁচা দেবেন না, এটা কখনও হয়। প্রত্যাশামতোই নেহরু, রাজীব গান্ধী থেকে শুরু করে নাম না করে বর্তমান গান্ধী পরিবারের তিন সংসদ সদস্য সোনিয়া-রাহুল-প্রিয়াঙ্কাকেও কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না প্রধানমন্ত্রী। বললেন, যারা মুখে গরিবের কথা বলে, তারা কি আমার একটা ছোট্ট কথার জবাব দিতে পারবে? একই দলিত পরিবারের তিন সদস্য একই সময়ে সাংসদ হয়েছে, এমন উদাহরণ আছে কি?
আজ দিল্লিতে ভোট। তার আগে সংসদকে নিজের নির্বাচনী বক্তৃতার মঞ্চ হিসেবেও কাজে লাগালেন মোদি। অরবিন্দ কেজরিয়ালকে টার্গেট করে শিসমহল, হাইফাই বাথরুম, আপদে’র মতো বিষয় তুললেন। একইসঙ্গে কংগ্রেস তথা বিরোধীদের বললেন, গত ১০ বছরে আমার সরকারের বিরুদ্ধে কেউ দুর্নীতির আঙুল তুলতে পারেনি। কংগ্রেসের সময় তো হাত সাফাই হতো। আর আমাদের সময়ে সাধারণ লোক এবং সরকার, উভয়েরই লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।
মোদি বলেন, আমাদের সাফল্যে কংগ্রেসের হতাশা, নিরাশা সবাই আন্দাজ করতে পারছে। তার থেকেই আমাদের কিছুই ভালো দেখতে পারছে না। ১ ঘণ্টা ৩৫ মিনিটের বক্তৃতায় নিজেকে এবং বিজেপিকে সবচেয়ে বড় দেশপ্রেমী বলেই তুলে ধরলেন মোদি। বললেন, আমাদের কাছে সবার আগে দেশ। নিজের জন্য সবাই করে। কিন্তু আমরা দেশের জন্য ভাবি। দেশের জন্য করি। তাই আগামী ২০৪৭ সালে বিকশিত ভারত করেই ছাড়ব।
পরিচিত সাদা টি শার্ট ছেড়ে রাহুলকে এদিন দেখা গেল কালো ফুলহাতা সোয়েটারে। পিছনে প্রিয়াঙ্কা। খোঁচা দিয়ে মোদির মন্তব্য, কেউ কেউ সংবিধান পকেটে নিয়ে ঘোরে। আর আমরা সংবিধানেই বাঁচি। সংবিধানকে রক্ষা করি। বিষাক্ত রাজনীতি করি না। একতা রক্ষা করি। বিরোধীরা তো খোলাখুলি আরবান নকশালের মতো কথা বলে। দেশের ক্ষতির কথা ভাবে না। মোদি যখন এসব বলছেন, ট্রেজারি বেঞ্চে উঠছে মোদি মোদি স্লোগান। পাল্লা দিয়ে বিরোধী বেঞ্চে তখন শোনা যাচ্ছে, ঝুট বোলে কাউয়া কাটে! কেন নেই বছরে দু কোটি চাকরি? কেন নেই কুম্ভে মৃত্যুর উল্লেখ? কেন মিটছে না মণিপুর সমস্যা? অখিলেশ যাদবের নেতৃত্বে সমাজবাদী পার্টি করল ‘ওয়াক আউট’ও।