কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের সাধারণ বাজেটে পিএম-ইন্টার্নশিপ স্কিমের ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। দাবি করেছিল, পাঁচ বছরে দেশের এক কোটি যুবক ৫০০টি সংস্থা-প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে। এক বছরের ইন্টার্নশিপে মাসে পাঁচ হাজার টাকা ভাতা। শর্ত কী? এই স্কিমে আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ২১ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। অর্থাৎ, দেশের যুব সমাজই এই কর্মসূচির ভরকেন্দ্র। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় পিএম-ইন্টার্নশিপ স্কিম নিয়ে লিখিত প্রশ্ন করেন সিপিএম এমপি ভি শিবদাসন। লিখিত জবাবে কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী হরিশ মালহোত্রা জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের অধীনে ৬০ হাজার ৮৬৬ জন আবেদনকারীকে মোট ৮২ হাজার ৭৭টি ইন্টার্নশিপ ‘অফার’ দিয়েছিল বিভিন্ন সংস্থা-প্রতিষ্ঠান। তাঁদের মধ্যে ২৮ হাজার ১৪১ জন সেই ‘অফার’ গ্রহণ করেছেন। অর্থাৎ মন্ত্রী যা বলতে চাননি—প্রধানমন্ত্রী ইন্টার্নশিপ স্কিমে ‘অফার’ প্রত্যাখান করেছেন ৩২ হাজার ৭২৫ জন। উল্লিখিত হিসেব গত ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে। কোন কোন সংস্থা থেকে অফার গিয়েছে? সেইসব সংস্থার বহর কতটা? উত্তর মেলেনি। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে ‘দায়সারা’ অফার দেওয়া হয়নি তো? সেই কারণেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে নতুন প্রজন্ম? চলছে এই জল্পনাও।
এদিনের লিখিত জবাবে মন্ত্রক জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়েছে গত ৩ অক্টোবর থেকে। প্রথম পর্বে প্রায় ২ লক্ষ জন আবেদন করেছিলেন। যোগ্যতা-সাপেক্ষে তাঁদের মধ্যে থেকেই ৬০ হাজার ৮৬৬ জন আবেদনকারীকে ‘অফার’ দেওয়া হয়েছিল। এই কর্মসূচির নির্দেশিকা মতো একজন আবেদনকারী সর্বোচ্চ দু’টো ‘অফার’ পেতে পারেন। মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, পাইলট প্রজেক্টের দ্বিতীয় পর্ব গত ৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। তাতেও কি আস্থা ফিরবে? তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে সাফাই দিয়েছেন, ‘এটি কোনও চাকরি নয়। বরং একটি এক্সপোজার।’