কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
১০ বছর পর এই প্রথম অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে লড়াই করতে হচ্ছে নিজের ইমেজের সঙ্গেই। যে কেজরিওয়াল দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছিলেন নব রাজনীতির সেনাপতি, তাঁর ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধেই এবার একঝাঁক দুর্নীতির অভিযোগ। জনমত সমীক্ষার আভাস কেজরিওয়ালের পক্ষে, তবুও সংশয় যাচ্ছে না। এবং কংগ্রেস। আজকের আধুনিকতম দিল্লির কারিগর শীলা দীক্ষিতের ১৫ বছরের শাসনকাল। মেট্রো থেকে ফ্লাইওভার। সবুজায়ন থেকে পরিকাঠামো। এমনকী শীলা দীক্ষিতের আমলে যা ছিল না, সেই প্রাণান্তকর দূষণের অভিশাপ এসেছে কেজরিওয়ালের আমলেই। দিল্লির সবথেকে বড় রাজনৈতিক রহস্য হল শীলা দীক্ষিতের পরাজয়। কেন তিনি হারলেন তার জবাব আজও মেলেনি। এবার কংগ্রেসের প্রতিশোধ নেওয়ার ভোট। হৃত সম্মান প্রয়াত শীলা দীক্ষিতকে ফিরিয়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নেমেছে রাহুল গান্ধীর দল। কিন্তু পারবে কি? কারণ এখনও পর্যন্ত বিজেপি বনাম আম আদমি পার্টির দ্বিমুখী যুদ্ধই আলোচ্য। কংগ্রেস কি ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভা ভোটে কেজরিওয়ালের পথে কাঁটা বিছিয়ে দিতে সক্ষম হবে? মরিয়া রাহুলের দল। কারণ প্রতিশোধ।
৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় ভোট শুরু সকাল ৭টায়। ১৩ হাজার ৭৬৬টি ভোট কেন্দ্রে ভোট দেবেন দেড় কোটির বেশি। ভোট নির্বিঘ্নে করতে ২২০ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনীর পাশাপাশি থাকছে দিল্লি পুলিস ও হোম গার্ড। ৩ হাজার বুথকে সংবেদনশীল বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৬ হাজার ৯৮০ জন ভোটার ইতিমধ্যেই ভোট দিয়েছেন।
বিজলি-পানি-সড়ক। বেকারত্ব। মূল্যবৃদ্ধি। সব আছে রাজধানীর জীবন সংগ্রামে। কিন্তু পাড়ায় পাড়ায় তিন দলের প্রধান প্রচার একটাই মহিলাদের মাসে আর্থিক অনুদান। কেউ দেবে ২৫০০ টাকা, কেউ ২১০০ টাকা। অর্থাৎ হাই প্রোফাইল দিল্লিতেও ভোটের ব্রহ্মাস্ত্র লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। কাদেরটা জিতবে? জানা যাবে ৮ ফেব্রুয়ারি। তার আগে আজই এক্সিট পোল।