পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ
কুম্ভমেলা উপলক্ষ্যে ‘বিশ্বমানের ব্যবস্থাপনা’ করা হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার গভীর রাতে পদপিষ্টের ঘটনার পর ভুয়ো প্রচারের সেই ফানুস মুখ থুবড়ে পড়েছে। গেরুয়া সরকারের মুণ্ডপাত করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে জখমদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন তিনি। এক্স হ্যান্ডলে রাহুলের তোপ, ‘অপব্যবস্থা ও সাধারণ পুণ্যার্থীদের কথা না ভেবে ভিআইপিদের যাতায়াতের দিকে প্রশাসনের বাড়তি নজর দেওয়ার ফলেই এই ঘটনা। ভিআইপি সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া উচিত। সাধারণ পুণ্যার্থীদের প্রয়োজনের দিকগুলি আরও বেশি করে খেয়াল রাখা উচিত সরকারের।’ সমাজবাদী পার্টি নেতা তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের দাবি, সাধুসন্ত ও অসংখ্য সাধারণ পুণ্যার্থীর আস্থা ফেরাতে অবিলম্বে মেলার ভার সেনার হাতে তুলে দেওয়া উচিত সরকারের। যোগী প্রশাসনকে একহাত নিয়ে অখিলেশের তোপ, ‘বিশ্বমানের ব্যবস্থাপনা বলে প্রচার করা হয়েছিল। সেসব গেল কোথায়? প্রকৃত সত্য প্রকাশ্যে চলে এসেছে। যাঁরা মিথ্যা দাবি ও প্রচার চালাচ্ছিলেন, প্রাণহানির ঘটনায় দায় তাঁদেরই নিতে হবে। অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত তাঁদের।’ যোগী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেও। প্রাণহানির ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডলে তাঁর তোপ, ‘জোড়াতালির ব্যবস্থা, ভিআইপি যাতায়াত ও আত্মপ্রচারে বাড়তি নজর দিতে গিয়েই এরকম ঘটনা ঘটে গেল। হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ সত্ত্বেও এই অব্যবস্থা নিন্দনীয়। ভিআইপিদের যাতায়াত বন্ধ রেখে ভক্তদের জন্য থাকার ব্যবস্থা, খাবার ও প্রাথমিক চিকিৎসার পরিসর আরও বাড়ানো উচিত।’
সিপিএমের তরফে দলীয়ভাবে বিবৃতি প্রকাশ করে যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। এই বাম দলটি বলেছে, ‘বিপুল খরচ সত্ত্বেও প্রাণহানির এই ঘটনায় যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে বিজেপি সরকারের অব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বেআব্রু হয়ে গিয়েছে। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাই।’ যোগী সরকারে বিঁধতে ছাড়েনি শিবসেনার উদ্ধব থ্যাকারে শিবিরও। সাংসদ সঞ্জয় রাউতের তোপ, ‘আপনারা কোটি কোটি মানুষকে আসতে বলছেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা কোথায়? ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়েছে। সেই টাকা গেল কোথায়? কুম্ভের পুণ্যস্নান ঘিরে মানুষের বিশ্বাস জড়িয়ে। কিন্তু তা নিয়ে বিজেপি রাজনৈতিক প্রচার চালিয়ে ভোটে জিততে চাইছে। এদিকে মানুষের প্রাণ চলে যাচ্ছে। মন্ত্রীদের জন্য নদীর তীরের কিছু অংশ বন্ধ করে দেওয়ার ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে।’