পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ
দুর্ঘটনার পর কুম্ভমেলা প্রাঙ্গনজুড়ে জুড়ে জুতো, মোজা, আধখোলা খাবারের ব্যাগ, থালা-বাসন সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। স্বজনহারাদের কান্না, আহতের আর্ত চিৎকারে ভরে ওঠে মেলাপ্রাঙ্গণ। রামপ্রসাদ যাদব ভিড়ে পায়ের চাপে পিষ্ট হয়েছিলেন। সুলতানপুরের এই বাসিন্দা বলেছেন, ‘স্নান করতে যাচ্ছিলাম। হঠাৎই ভিড়ের ধাক্কায় পড়ে গেলাম। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। কিন্তু কেউ ফিরেও তাকায়নি। তাঁর ৬৫ বছরের বৃদ্ধা মাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে। অসহায় রামপ্রসাদ বলেন, ‘জানি না কীভাবে বাড়ি ফিরব।’
দেবিকা নামে এক মহিলা আবার বুধবার ভোর থেকে একের পর এক অনুসন্ধান কেন্দ্রে কাকিমা বাই রাজপুতের খোঁজ করে চলেছেন। তাঁর কথায়, ‘রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আমরা ২০ জন মিলে স্নানে বেরিয়েছিলাম। হঠাৎই ভিড় আমাদের সব গ্রাস করে নিল। এরপর দেখি কাকিমা আর আমাদের সঙ্গে নেই।’ এরপরের কয়েক ঘণ্টা ধরে অনুসন্ধান কেন্দ্রগুলিতে ঘুরে ঘুরে তাঁর দিশাহারা অবস্থা। তাঁর আশঙ্কা, কাকিমা বোধহয় আর বেঁচে নেই। দেবিকার মতো অবস্থা আরও অনেক পুণ্যার্থীরই। দলছুটদের খোঁজখবরে প্রশাসনের তরফ থেকেও কোনও সাহায্য মিলছে না বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।