বেঙ্গালুরু: কর্মক্ষেত্রে মেয়েরা কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অভয়ার এক মহিলা সহকর্মী। ঘটনার দু’দিন আগেও সেখানে নাইট ডিউটি করেছেন তিনি। ছোট থেকেই মানুষের জীবনরক্ষার পণ করেছিলেন যিনি, সেই রাধিকাই(নাম পরিবর্তিত) এখন নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন। রাধিকার কথায়, এই নৃশংস ঘটনার দু’’দিন আগে আর জি করে নাইট ডিউটি করেছি। কিন্তু যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে, তা ফের আমাদের সঙ্গে যেকোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে। টানা ডিউটি করে ক্লান্ত চিকিৎসকরা চেয়ারে-মেঝেতে যে যেখানে পারে, একটু জিরিয়ে নেয়। তাঁর অভিযোগ, পুরুষ এবং মহিলা চিকিৎসকদের জন্য আলাদা বিশ্রামকক্ষ নেই। ফলে সবাইকেই বাধ্য হয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিশ্রাম নিতে হয়। তার উপর বিশ্রামকক্ষে তালা-চাবির ব্যবস্থা থাকে না। এছাড়া পুরুষ-মহিলা চিকিৎসকদের একই শৌচালয় ব্যবহার করতে হয়। ঋতুস্রাবের সময়েও বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায় না। 
শুধু রাধিকা নন, তাঁর মতো দেশের অন্য মহিলা চিকিৎসকদেরও চোখেমুখে এখন আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। কাশ্মীরের চিকিৎসক রুবিনা ভাটের কথায়, অবস্থা এতটাই খারাপ যে, অনেক সময় হাসপাতালের কাছাকাছি কারুর বাড়ির শৌচালয়ও ব্যবহার করতে বাধ্য হন তাঁরা। তিরুবনন্তপুরমের এক মহিলা চিকিৎসকের কথায়, প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে কর্মক্ষেত্রে আমরা মৌখিক হেনস্তার শিকার হই। অবস্থা এতটাই দুঃসহ যে, মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আত্মরক্ষামূলক ক্লাসে অংশ নেওয়ার জন্য মহিলা চিকিৎসকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো সিঁটিয়ে রয়েছেন বেঙ্গালুরুর কেসি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ইন্দিরা কাবাডে। হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরাপদে বাড়ি ফেরা নিয়ে তিনিও যথেষ্ট চিন্তায়। ইন্দিরা বলেন, হাসপাতাল থেকেই মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের কেউ পিছু নিচ্ছে কি না, তা আমরা জানি না।