বিশেষ কোনও পারিবারিক কারণে মানসিক দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। কাজকর্মের ক্ষেত্রে বিশেষ সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
রাজস্থানে থাকা ললিতের বন্ধু মহেশ ও কৈলাসকে আটক করেছে পুলিস। তা সত্ত্বেও স্পেশাল সেলের সন্দেহ, কিছু একটা মিসিং লিঙ্ক রয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ আটজন ধরা পড়লেও, আসল মাথা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। এরকম এটি মোটাদাগের ঘটনা ঘটিয়ে অনায়াসে ধরা পড়ে গেল যে যুবক-যুবতীরা, তাদের প্ররোচনা দিয়েছিল কে? আপাতত এই প্রশ্নের উত্তরই পাখির চোখ গোয়েন্দাদের। বৃহস্পতিবার রাতেই হরিয়ানার ঝিন্দে ধৃত নীলমের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিস। কয়েকদিনের মধ্যে বিশেষ টিম যেতে পারে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে। পাশাপাশি ধৃতদের নিয়ে আজ অথবা আগামী কাল সংসদে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করবে পুলিস।
পুলিসের দাবি, ললিত দিল্লি থেকে পালিয়ে রাজস্থানের নিমরানায় কিছুক্ষণ থামে। তারপর রওনা হয় কুচিমানে। রাত সাড়ে ১১টায় সেখানে তাঁকে নিতে আসে মহেশ। মহেশ এবং আর এক যুবক কৈলাস একটি মোটেলে নিয়ে যায় ললিতকে। একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সেই রাতে তারা সেখানেই থেকে যায়। তার আগে পুড়িয়ে দেওয়া হয় মোবাইল সহ সব নথিপত্র। পরদিন কৈলাসকে দু’জনে জানায়, তারা দিল্লিতে গিয়ে সারেন্ডার করবে। এরপর মহেশ ও ললিত জয়পুরে এসে দিল্লির ট্রেন ধরে। প্রাথমিকভাবে এর কারণ বুঝতে পারেনি কৈলাস। কারণ, ললিত যদি আত্মসমর্পণই করবে, তাহলে সে কেন পালিয়েছিল? এসবের মধ্যেই দিল্লি থেকে ইনপুট পেয়ে রাজস্থান পুলিস ধরে ফেলে কৈলাসকে। ললিতের ফোন ট্র্যাক করা যায়নি। সে মহেশের সঙ্গে দিল্লিতে এসে কর্তব্য পথ থানায় আত্মসমর্পণ করে। এদিন তাকে সাতদিন পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এরপরেও অবশ্য যে প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে, তা হল—ফোন বন্ধ থাকলে মহেশের সঙ্গে ললিত যোগাযোগ রাখছিল কীভাবে?
জানা যাচ্ছে, সংসদে হামলার বিকল্প একটি প্ল্যানও ছিল অভিযুক্তদের। ন’মাস আগে লখনউয়ে মুচিকে দিয়ে জুতোর নীচে গর্ত করে কীভাবে রাবার দিয়ে ঢেকে রাখা যায়, তার মহড়া দিয়েছে সাগর শর্মা। সেই জুতোই ব্যবহার করা হয়েছে। কতটা ক্ষতিকর ছিল ওই কালার স্মোক? পুলিস এফআইআরে লিখেছে— ক্যানস্টারে সতর্কবার্তা লেখা রয়েছে, গগলস এবং মাস্ক পরে যেন এই ধোঁয়ার সংস্পর্শে কেউ আসে। আসলে কী ছিল সংসদে ছড়ানো সেই গ্যাসে?