কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
কৃষ্ণা জেলার গুড়িবড়া কৃষক মান্ডিতে সরকারি ভর্তুকির পেঁয়াজ কেনার লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে চালু হওয়া বিশেষ কাউন্টারে ২৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি চলছিল সেখানে। সকাল সাড়ে আটটায় সেই বিশেষ কাউন্টার খোলে। বিশাল লাইন পড়ে যায় সেখানে। গুড়িবড়া থানার এক অফিসার জানান, লাইনে হুড়োহুড়ির জেরে এক সময় ঠেলাঠেলিও শুরু হয়ে যায়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই ছিল। দু’ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ওই বৃদ্ধি। মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ায় তাঁকে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, আসার পথেই মৃত্যু হয়েছে রেড্ডির। স্বাভাবিক মৃত্যু হওয়ায় কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি। বৃদ্ধের দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
২৫ টাকার পেঁয়াজ কেনার জন্য এদিন দীর্ঘ লাইন দেখা গিয়েছে বিশাখাপত্তনম, কুর্নুল ও তিরুপতি সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে। বিশাখাপত্তনমের সীতাম্মাধারা কৃষি বাজারে পেঁয়াজ কেনার জন্য ভোর পাঁচটা থেকে লাইন দিয়েছিলেন মহিলারা। কিন্তু দীর্ঘ লাইন সত্ত্বেও ভর্তুকির পেঁয়াজ শেষ হতে বেশি সময় লাগেনি। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়ানো সত্ত্বেও পেঁয়াজ না মেলায় ক্ষোভ তৈরি হয়। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন মহিলারা।
পেঁয়াজের বর্ধিত দামের ঝাঁঝ এদিন প্রতিফলিত হয়েছে অন্ধ্র বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনেও। বিরোধী দল টিডিপির বিধায়করা পেঁয়াজের মালা পরে বিধানসভায় আসেন। যদিও পুলিস তাঁদের সেই মালা পরে ভিতরে ঢুকতে দেয়নি। চন্দ্রবাবু নাইডুর দলের অভিযোগ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াই এস আর কংগ্রেস সরকার। সরকারের সমালোচনা করেন চন্দ্রবাবু নিজেও। যদিও তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী জগন। তিনি বলেন, অন্ধ্রপ্রদেশ একমাত্র রাজ্য যেখানে ২৫ টাকা কেজি দরে ভর্তুকির পেঁয়াজ বিক্রি করছে সরকার। খোলা বাজারে ১৮০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। চন্দ্রবাবু নাইডু কি তাঁর ফ্যামিলি স্টোর হেরিটেজে সরকারি দামে ২৫ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করবেন? হেরিটেজে ২০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি চলছে।