হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
সোমবার নবান্ন সভাঘরের শিল্প বৈঠকে পুরসভায় নিয়োগ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়ে দেন, অনেক পুরসভা নিজেদের ইচ্ছামতো লোক নিচ্ছে, যা পরবর্তীকালে রাজ্যের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে উঠছে। কোনওভাবেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে বাদ দিয়ে নিয়োগ করা যাবে না। প্রসঙ্গত, ওই দিনই কলকাতা হাইকোর্ট একটি রায়ে জানিয়ে দেয়, বাম আমলে রাজ্যের পুরসভাগুলিতে নিয়োগ পাওয়া চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের একাংশ পেনশন সহ অবসরকালীন সুযোগসুবিধা পাওয়ার যোগ্য নন। কারণ, ওই নিয়োগের সিংহভাগ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পুরবোর্ডের অনুমোদন থাকলেও রাজ্য সরকারের অনুমোদন ছিল না। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে এমন রায়ের দিনেই পুরসভায় স্থায়ী কর্মী নিয়োগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উষ্মা প্রকাশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
মুখ্যমন্ত্রীর ওই বার্তার পর পুরসভাগুলির সঙ্গে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে। তারপর ৩ মার্চ এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় পুরদপ্তরের তরফে। কী বলা হয়েছে সেখানে? সূত্রের খবর, পুরসভার পাশাপাশি পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের অধীন নোটিফায়েড এরিয়া অথরিটি এবং উন্নয়ন পর্ষদগুলির ক্ষেত্রে নিয়োগের সমগ্র প্রক্রিয়ার দায়িত্ব থাকবে মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের হাতেই। নিয়োগ প্রক্রিয়া চালুর জন্য পুরসভা এবং নোটিফায়েড এরিয়া অথরিটিকে ‘ডাইরেক্টরেট অব লোকাল বডিজ’-এর মাধ্যমে মিউনিসিপ্যাল কমিশনকে আবেদন করতে হবে। কলকাতা, হাওড়ার মতো বড় পুরসভা এবং উন্নয়ন পর্ষদের ক্ষেত্রে কমিশনের কাছে এই আবেদন পৌঁছবে পুরদপ্তরের মাধ্যমে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন আইন নিয়ে আসে রাজ্য। ২০১৯ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ওই আইন রাজ্যে লাগু হয়। ওই দিনই তৈরি হয় ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন। সমস্ত পুরসভার নিয়োগকে এক ছাতার তলায় আনার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করে রাজ্য। সেই আইনই কার্যকর করার ক্ষেত্রে আর কোনও শিথিলতা চাইছে না রাজ্য সরকার। সেই মতো কড়া নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে পুরসভাগুলিতে।