হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
তবে বাজারে সম্ভাব্য দাম নিয়ে টাস্ক ফোর্স ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি লালু মুখোপাধ্যায় জানান, এবার যা পরিস্থিতি তাতে হিমঘর থেকে বেরনো জ্যোতি আলুর দাম খুচরো বাজারে ২৫ টাকার বেশি হওয়া কথা নয়। কমলবাবু অবশ্য মনে করেন, তার দাম খুচরো বাজারে ২০ টাকার আশপাশে থাকার সম্ভাবনা আছে। কারণ এবার অন্যান্য রাজ্যেও আলুর ফলন ভালো ফলন হয়েছে। তাই পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভিন রাজ্যে আলু এবার কমই যাবে। গতবছর খুচরো বাজারে জ্যোতি আলুর দাম কেজিতে ৩৬-৩৭ টাকায় পৌঁছেছিল। তখন দাম কমাতে হস্তক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় স্বয়ং। পুজোর পর ভিন রাজ্যে আলু পাঠানোর উপর প্রশাসনিক বিধিনিষেধ জারি করা হয়। এতে দাম কিছুটা কমেছিল।
চলতি মার্চের শুরুতেই রাজ্যের হিমঘরগুলিতে আলু মজুত শুরু হয়েছে। সরকারি ও ব্যবসায়ী সংগঠন সূত্রের খবর, হিমঘরে জ্যোতি আলু মজুত করার সময় প্রতি কেজিতে খরচ পড়ছে ১১ টাকার মতো। চাষিরা এখন কেজিতে সাড়ে ৯ টাকা থেকে ১০ টাকা দাম পাচ্ছেন। গতবছর ফলন কম হওয়ায় চাষিরা বেশি দাম পেয়েছিলেন। তখন হিমঘরে আলু ঢুকেছিল কমবেশি ১৬ টাকা দরে। অধিক দরে মজুতের কারণে, হিমঘর থেকে বেরনোর সময় আলুর দামও সারা মরশুম জুড়ে চড়া ছিল।
ব্যবসায়ী সংগঠনের বক্তব্য, এবার যে দামে আলু মজুত হয়েছে তাতে হিমঘরের ভাড়া ও অন্যান্য খরচ নিয়ে বেরনোর সময় তার দর থাকবে ১৮ টাকার আশপাশে। হিমঘর থেকে বেরনোর পর একাধিক হাত ঘুরে ও পরিবহণ খরচ জুড়ে খুচরো বাজারে আলু পৌঁছয়। এতে দাম কিছুটা বাড়ে। মে মাস থেকে হিমঘরের আলু বাজারে আসতে শুরু করে। মার্চ-এপ্রিল মাসে মাঠ থেকে ওঠা আলু সরাসরি বাজারে আসার জন্য দাম কম থাকে।