বিশেষ কোনও পারিবারিক কারণে মানসিক দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। কাজকর্মের ক্ষেত্রে বিশেষ সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
এক মাস ধরে বীরভূমের খয়রাশোল, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেট, পূর্ব বর্ধমান ও চন্দননগর কমিশনারেট এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ সাইবার জালিয়াতির অভিযোগ এসেছে। দেখা যায়, সেক্সটরশন, গ্যাসে ভর্তুকির নামে টোপ, ডিজিটাল অ্যারেস্ট, ভুয়ো বিনিয়োগের টোপ দিয়ে চলছিল টাকা হাতানোর কারবার। অভিযোগ পাওয়ার পরই পদক্ষেপ করে সাইবার ক্রাইম উইং। অপারেশনের নাম দেওয়া হয় ‘সাইবার শক্তি’। সবমিলিয়ে ২৫০টি অভিযোগ জমা পড়ে। তদন্তে ধরা পড়ে, ইতিমধ্যে কয়েক কোটি টাকা খোয়া গিয়েছে সাধারণ মানুষের। যে নম্বর থেকে জালিয়াতরা ফোন করত, সেগুলির ডেটা বিশ্লেষণ শুরু হয়। দেখা যায়, বেশিরভাগ সিমই ভুয়ো নথি জমা দিয়ে তোলা। যে অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছে, তার ট্রানজাকশন আইডি ধরে খুঁজে বের করা হয়, কোন নম্বর ব্যবহার হয়েছে টাকা তোলার সময়। সেই সূত্র ধরেই খয়রাশোল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে। তদম্তকারীরা দেখেন, তারা জামতাড়া গ্যাংয়ের সদস্য। আর পাঁচটা সাইবার জালিয়াতির মতো এখানেও প্রতারকরা ব্যবহার করেছে ভাড়ার অ্যাকাউন্ট। চার-পাঁচটি লেয়ার রাখা হয়েছে টাকা ট্রান্সফারে। অ্যাকাউন্ট লেনদেনের সূত্র ধরে ৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার জানান, ‘অভিযান এখনও শেষ হয়নি। আরও গ্রেপ্তারির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় জামতাড়া পশ্চিমাঞ্চলের লাগোয়া হওয়ায় এখানকার জেলাগুলিকে বেছে নিয়েছিল জামতাড়ার জালিয়াতরা। কয়েক কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে। এই টাকা যাতে প্রতারিতরা ফেরত পান, সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’ ধৃতদের মোবাইল ঘেঁটে জামতাড়া গ্যাংয়ের আরও একাধিক সদস্যের নাম পাওয়া গিয়েছে। সুপ্রতীমবাবুর দাবি, এই গ্যাং রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ছত্তিশগড় সহ বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।