বিশেষ কোনও পারিবারিক কারণে মানসিক দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। কাজকর্মের ক্ষেত্রে বিশেষ সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। নিজের কেন্দ্রে নিজের ভোট নিজে দেবেন— এই প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখেই ভোট রাজনীতি মুখী তৃণমূল। রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা আসন ভিত্তিক ভোটার তালিকা ধরে পর্যালোচনার কাজ শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। গত জানুয়ারি মাসে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে। সে অনুযায়ী প্রতিটি বিধানসভায় এখন কতজন ভোটার রয়েছেন, এবারে কত জনের নাম বাদ গিয়েছে, কতজন নতুন ভোটার হয়েছেন—সব তথ্য ধরে বুথভিত্তিক নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। বাইরে থেকে কোনও ব্যক্তি এসে এখানে থাকছেন কি না, ভোটার তালিকায় নাম তোলার চেষ্টা করছেন কি না, এবিষয়ে সতর্ক ও সজাগ থাকার নির্দেশ যাচ্ছে রাজ্য তৃণমূল থেকে। ভোটারের নাম সংযোজন-বিয়োজনের ক্ষেত্রে কোনও কারচুপি হচ্ছে কি না, তা তালিকা ধরে নজরদারির বার্তা যাচ্ছে জেলায় জেলায়। বিশেষকরে অনলাইনের মাধ্যমে কেউ ভোটার তালিকায় নাম তুলছেন কি না, সেবিষয়ে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দেবে তৃণমূল। সেখানে বলা হবে, ন কমিশন যেন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে।
স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিশেষ সূত্র মারফত খবর এসেছে, প্রতিটি বিধানসভায় ২০-৩০ হাজার বাইরের লোক নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে একটি ‘ভুতুড়ে রাজনৈতিক দল’। বুথের ভোটার তালিকায় ‘মাইক্রোম্যানেজ’ প্ল্যান করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগের তির কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির দিকে। ভুয়ো ভোটার নিয়ে এসে ফায়দা তোলার জন্য মহারাষ্ট্র, দিল্লির ফর্মুলা এবার বাংলায় কাজে লাগাতে চায় ওই রাজনৈতিক দল। এমন অভিযোগ করেছেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভুতুড়ে ভোটার নিয়ে মমতার দেওয়া তথ্য সামনে আসার পর শোরগোল পরে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
মমতার বক্তব্যের সুরেই বৃহস্পতিবার ভুতুড়ে ভোটার নিয়ে আরও তথ্য সামনে এনেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ভোটের মেশিনারি যাঁরা করেন, তারা এটা বুঝতে পারবেন দিল্লির ভোটার তালিকা দেখলেই। সেখানে গত সাত-আট মাসে ভোটার তালিকায় ৪ লক্ষ নাম নথিভুক্ত হয়েছে। যা ১৪ বছরে হয়নি। কোনও বিধানসভায় ২০ হাজার ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে। আবার কোনও বিধানসভায় ৩০ হাজার ভোটার বেড়ে গিয়েছে। এটা কোনওভাবেই সঠিক বলে মনে হচ্ছে না। দিল্লিতে এটা হয়েছে, অন্য রাজ্যেও হতে পারে।
এই আবর্তে তৃণমূলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের উপর চাপ বাড়িয়ে বলা হয়েছে, স্বশরীরে হাজিরা দিয়ে এবং নাম, ঠিকানা, বয়সের তথ্য প্রমাণ দিয়েই ভোটার তালিকায় যেন নাম তোলা হয়। নির্বাচন কমিশনের আচরণ প্রসঙ্গে কটাক্ষের সুরে অভিষেক বলেছেন, নির্বাচন কমিশনেরর ভূমিকা যত কম বলা যায় তত ভালো, তাতে গলার বিশ্রাম পাবে। নির্বাচন কমিশন যদি নিরপেক্ষ ও সদর্থক ভূমিকা পালন না করে তাহলে আগামীদিন রাস্তার নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, দিল্লির মতো পরিস্থিতি হতে দেব না আমাদের রাজ্যে। আমরা সতর্ক প্রহরীর মতো কাজ করব। নির্বাচন কমিশন যদি সঠিকভাবে কাজ না করে, তাহলে সাধারণ মানুষকে নিয়ে বিক্ষোভের রাস্তায় হাঁটতে হবে।