বিশেষ কোনও পারিবারিক কারণে মানসিক দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। কাজকর্মের ক্ষেত্রে বিশেষ সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার বাজেট পেশ করার পর সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যে সরকারের বিভিন্ন সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে পেঁয়াজের প্রসঙ্গও তোলেন। তিনি বলেন, আগে তো বেশিরভাগ পেঁয়াজই অন্য রাজ্য থেকে আনতে হতো। আমরা চাষ বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতেই উৎপাদনও অনেক বেড়েছে। রাজ্যে বছরের ৭৫ ভাগ চাহিদা মিটে যাচ্ছে নিজস্ব উৎপাদন থেকেই। রাজ্যে যে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় তার বেশিরভাগটা ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ উঠতে শুরু করে। রাজ্য সরকার অবশ্য উন্নতমানের বীজ এনে বর্ষাকালীন পেঁয়াজের চাষ বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে। বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, অফ সিজন পেঁয়াজ চাষের এলাকা বাড়ানোর জন্য ২২.৫৮ কুইন্টাল বীজ চাষিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। ৪২৫ টন পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য চাষিদের আর্থিক অনুদান দিয়েছে সরকার। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি সংরক্ষণের ব্যবস্থা আরও প্রসারিত হলে সাধারণ ক্রেতাদের আর্থিক সুবিধার পাশাপাশি চাষিরা বেশি আয় করতে পারবেন। সংরক্ষণের ব্যবস্থা বাড়লে আরও বেশিদিন ধরে রাজ্যের পেঁয়াজ বাজারে আসবে। এতে দামের সাশ্রয় হবে।
কলকাতার পাইকারি বাজারে এখন রাজ্যের নতুন পেঁয়াজ ১৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় উৎপাদন এসে যাওয়ায় মহারাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা এখানে কম দামে পেঁয়াজ পাঠাতে বাধ্য হচ্ছেন। মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ এখন ২০ টাকার আশপাশে কলকাতার পাইকারি বাজারে আসছে। কিছুদিন আগে তা ছিল কেজিতে ৩০ টাকার বেশি। পুরনো পেঁয়াজ এখনও খুচরো বাজারে ৪০ টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছে। নতুন পেঁয়াজে এখনও ভেজা ভাব বেশি রয়েছে, তাই অনেকেই তা কিনতে চাইছেন না। এই সমস্যা কিছুদিনের মধ্যেই কেটে যাবে। তখন বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেকটাই নেমে যাবে বলে বাজার বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন। নতুন পেঁয়াজ কিছুদিনের মধ্যে ‘হালকা’ হলে তার সংরক্ষণ প্রক্রিয়াও শুরু হবে। এতে চাষিরাও দাম বেশি পাবেন। এখন চাষিরা নতুন পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ১০ টাকার কমে।