বিশেষ কোনও পারিবারিক কারণে মানসিক দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। কাজকর্মের ক্ষেত্রে বিশেষ সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
নামখানার ছয়ের ঘেরির বাসিন্দারাও সেই আশায় বুক বেঁধেছেন। দীর্ঘ দিন ধরে এই এলাকার প্রায় দুই কিলোমিটার নদী বাঁধ বেহাল হয়ে পড়ে। এমনকী নদী বাঁধের উপরে থাকা গ্রামের ১২ ফুট পিচের রাস্তা এখন ভাঙতে ভাঙতে দেড় ফুটে এসে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের বিশ্বাস, এবার নিশ্চিতভাবে ভগ্ন নদী বাঁধগুলিকে স্থায়ীভাবে মেরামত করা হবে। অন্যদিকে, গোসাবার বিস্তীর্ণ এলাকাও ভাঙন কবলিত। বর্ষা এলেই নদী বাঁধে ভাঙনের ঘটনা ঘটে। সেখানকার মানুষেরও বহুদিনের দাবি, কংক্রিটের বাঁধ তৈরি করা হোক। এবার যেহেতু রাজ্য বাজেটে এই নিয়ে আলাদা টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, তাই এতদিনের সমস্যা মেটার আশায় রয়েছেন কয়েক হাজার গ্রামবাসী।
এবিষয়ে নামখানার ছয়ের ঘেরির এক বাসিন্দা উত্তম গায়েন বলেন, হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদীর ওপাড়ে আমাদের আড়াই বিঘা চাষের জমি ছিল। কিন্তু নদী ভাঙনের ফলে সেই জমি তলিয়ে গিয়েছে। এখনও নদী বাঁধ ভাঙতে ভাঙতে ক্রমশ গ্রামের দিকে এগিয়ে আসছে। গত চার মাস আগে কোনও রকমে নদী বাঁধটি মেরামত করা হয়েছে। রাজ্য সরকার এবার বাজেটে নদী বাঁধ মেরামতের জন্য যে টাকা বরাদ্দ করেছে, সেই টাকা সত্যিই যদি সঠিকভাবে খরচ করা হয়, তাহলে নিশ্চিতভাবে সুন্দরবনের নদী বাঁধগুলিকে স্থায়ীভাবে মেরামত করা যাবে। বর্ষার আগে অবশ্যই এই এলাকার সব নদী বাঁধগুলিকে মেরামত করা উচিত।
এবিষয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার নদী বাঁধ মেরামত করার জন্য কোনও টাকা দেয় না। রাজ্য সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে নদী বাঁধ সংস্কারের জন্য এই টাকা বরাদ্দ করেছে। মূলত রাজ্য সরকার চেষ্টা করছে বেহাল নদী বাঁধগুলিকে রক্ষা করার।