কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
তবে কেন্দ্রের হাজার চক্রান্তেও বাংলার শিল্প সম্মেলনের জৌলুস এক ইঞ্চি কমবে না বলেও প্রত্যয়ী মমতা এবং তাঁর প্রশাসন। কারণ, বাণিজ্য সম্মেলনের ইতিহাসে এবারই সবথেকে বেশি দেশের প্রতিনিধি রাজ্যে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাতে চলেছেন বলে খবর। মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দেবেন রিলায়েন্স গ্রুপের মুকেশ আম্বানি, জিন্দাল গ্রুপের সজ্জন জিন্দাল, আইটিসি’র সঞ্জীব পুরী থেকে শুরু করে ললিত সুরি হসপিটালিটি গ্রুপের জোৎস্না সুরিও। ফলে এরাজ্যে লগ্নি নিয়ে দেশের প্রথম সারির শিল্পপতিরা কী ঘোষণা করতে চলেছেন, নজর রয়েছে সেদিকেই। রাজ্যের এক আধিকারিক সাফ বলেন, ‘কেন্দ্রের প্যাঁচকে আমল না দিয়ে আগামী দু’দিন বাংলার দিকেই তাকিয়ে থাকবে গোটা দেশ।’ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এবারের বাণিজ্য সম্মেলনেই সর্বাধিক ২০০’র কাছাকাছি মউ স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দিনে অন্যান্য ক্ষেত্র ছাড়াও তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পে বিনিয়োগ টানতে বিশেষ জোর দিচ্ছে রাজ্য। বিশেষ নীতি প্রণয়ন করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হাব গড়ে তোলার উদ্যোগও রয়েছে। বাণিজ্য সম্মেলনে কার কী দায়িত্ব, মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের তা বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বীরবাহা হাঁসদা এবং জ্যোৎস্না মান্ডিকে মঞ্চে উপস্থিত অতিথিদের আপ্যায়নের দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সকলকে সময় মতো পৌঁছে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন।
শিল্প উৎসবের জন্য আলো ও ব্যানার দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে গোটা শহর। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। মা ফ্লাইওভার, ইএম বাইপাসের পাশাপাশি শহরকে যানজট মুক্ত রাখতে এদিন কলকাতা ট্রাফিক পুলিসকে নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। শহরের প্রতিটি ট্রাফিক গার্ড থেকে দু’জন করে সার্জেন্টকে নিয়ে ৫০টি পাইলট টিম তৈরি হয়েছে।