নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দেশের প্রতিরক্ষা, পুলিস, আধা সামরিক ও অন্যান্য সুরক্ষা খাতে বাজেটের বড় অংশ বরাদ্দ করা হয়। সেই টাকা আরও বেশি করে উন্নয়নমূলক খাতে খরচ করা জরুরি। মঙ্গলবার মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এমনটাই দাবি করলেন জিএসটি দপ্তরের প্রাক্তন চিফ কমিশনার বি বি মহাপাত্র। তাঁর কথায়, এবার দেশের সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে মোট বাজেটের ৪০ শতাংশ। উন্নয়নমূলক প্রকল্পসহ বাদবাকি খাতে বরাদ্দ হয়েছে ৬০ শতাংশ। আমাদের সুরক্ষা বাজেট আরও কমানো উচিত। আগে অবশ্য এখানে আরও বেশি খরচ করা হতো। সেই প্রবণতা কমেছে বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন ওই জিএসটি কর্তা। বি বি মহাপাত্রের হিসেব, এবার প্রতিরক্ষায় বরাদ্দ হয়েছে ৪ লক্ষ ৯১ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা। অন্যদিকে, ২ লক্ষ ৬৬ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতিতে। এই পরিমাণ নগরোন্ননের ক্ষেত্রে ৯৬ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প খাতে বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে ৬০ হাজার ৫২ কোটি টাকা। স্বাস্থ্যে বরাদ্দ ৯৮ হাজার ৩১১ কোটি টাকা। তাঁর বক্তব্য, এই খাতগুলিতে খরচ আরও বাড়ানো উচিত। তাঁর আরও দাবি, এদেশে আয়করের মতো প্রত্যক্ষ কর বাবদ যা রাজস্ব আদায় হয়, তার তুলনায় কম রাজস্ব আসে পরোক্ষ কর বাবদ, বলা ভালো জিএসটি থেকে। এই রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রেও ভারসাম্য আসা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
এই অনুষ্ঠানে আনন্দ রাঠির এগজিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সিদ্ধার্থ সেদানি বলেন, এবার বাজেটে আয়করে যে ছাড় দেওয়া হয়েছে, তাতে বাজারে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার বিক্রিবাটা বাড়বে। আগামী অর্থবর্ষে সরকারের আয় বাড়বে ১১ শতাংশ এবং খরচ বাড়বে ৭ শতাংশ। এই ইতিবাচক পরিস্থিতি আর্থিক ঘাটতি কমাতে সাহায্য করবে। ভোগ্যপণ্য, এই বাজেটের ফলস্বরূপ বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি ও গেরস্থালির সরঞ্জাম, সাধারণ ও বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবসা বাড়বে। আয়কর দপ্তরের প্রাক্তন চিফ কমিশনার অসিতকুমার মহাপাত্র এদিন বলেন, বাজেটে আয়করে যে ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে সাধারণ মানুষ ১৬ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করছাড়ের সুবিধা পাবেন।