কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর,বিগত কয়েকবছরে পাক লাগোয়া পাজ্ঞাব সীমান্তে ধরা পড়েছে পাক ড্রোন। উদ্ধার হওয়া ড্রোনগুলিতে লেখা রয়েছে মেড ইন চায়না। গোয়েন্দারা জানতে পারেন, চীন থেকে অত্যাধুনিক এই ড্রোন কিনছে শাহবাজ শরিফের সরকার। গোয়েন্দাদের কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী, আইএসআই প্রধানের বাংলাদেশ সফরের পরই পাকিস্তান ৫ লক্ষ নতুন ড্রোন তৈরির বরাত দিয়েছে চীনকে। এআই প্রযুক্তি নির্ভর এই ড্রোনের একটা বড় অংশ যাবে বাংলাদেশে। এই ড্রোন চালানোর প্রশিক্ষণ দিতে পাকিস্তানি সেনা কর্তাদের বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে চলতি মাসেই। উন্নত প্রযুক্তিতে কম খরচে তৈরি তৈরি এই ড্রোন ১৫০০-২০০০ মিটার উচ্চতায় উড়তে পারে। গোয়েন্দাদের কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী, আট ঘণ্টা টানা উড়তে পারা এআই প্রযুক্তির এই ড্রোন ভারতীয় বায়ুসেনার রেডারকে ফাঁকি দিতে সক্ষম। শব্দহীন এই ড্রোনকে চিহ্নিত করা বেশ কঠিন। এই ড্রোন ব্যবহার করে সেনাছাউনি বা নিরাপত্তার দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হামলা চালানো যায়।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর,এআই ড্রোন বাংলাদেশকে দেওয়ার পিছনে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য রয়েছে পাকিস্তানের। পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর পূর্ব ভারতের যে অংশ ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে সেখানে ঘাঁটি গেড়ে বসে রয়েছেন আইএসআই কর্তারা। একইসঙ্গে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ির ‘চিকেন নেক’ও তাঁদের টার্গেটে রয়েছে। গোয়েন্দাদের কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এগুলি এলেও, ভারত সীমান্তে নজরদারি চালাতে এর নেপথ্য ব্যবহারকারী আসলে আইএসআই। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, এআই ড্রোন ব্যবহার করে সেনা ছাউনি বা কোনও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পাক মদতে হামলার ছক কষছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক আইনকে উপেক্ষা করে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে পরপর বাঙ্কার তৈরি করে ‘প্ররোচনা‘ দিচ্ছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড। তবে এর মোকাবিলায় ভারত লেজার বেসড ইন্ট্রিগ্রেটেড ড্রোন ডিটেকশন ও ইন্টার ডিটেকশন সিস্টেম চালু করেছে। পাশাপাশি বিমানবাহিনীর রেডারে যাতে এআই ড্রোন আসে, তার প্রযুক্তি তৈরি করেছে ভারত।