নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: স্রেফ অর্থনৈতিক অবরোধই নয়। বাংলার বকেয়া আটকে রেখে বিশ্বাসঘাতকতা করছে মোদি সরকার। সোমবার সংসদে এমনই মন্তব্যে আক্রমণ করল তৃণমূল। লোকসভায় কাকলি ঘোষদস্তিদার, রাজ্যসভায় ডেরেক ও’ব্রায়ান। পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির অনুমোদন করেও আটকে দেওয়া এবং নারেগায় কাজ করার পরেও পারিশ্রমিক না দেওয়ার বিষয় তুলে সংসদে সরব হন। কাকলিদেবী বলেন, এটা শুধু ইকোনমিক ব্লকেড নয়। এটা বিট্রেয়াল। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বিজেপিকে ভোট দেয়নি বলেই কি এই বঞ্চনা? বাংলায় চলা সবার জন্য বিনামূল্যে খাদ্য, বাংলা শস্য বিমা যোজনা, মহিলাদের অগ্রাধিকারের মতো ইস্যু তুলে ধরে কাকলিদেবী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মডেল অনুসরণ করা উচিত। কৃষকদের পাশে না দাঁড়িয়ে কেন ধনীর ঋণ মকুব? রাষ্ট্রপতির ভাষণে অশান্ত মণিপুর ইস্যু নিয়ে মুখে কুলুপের পাশাপাশি কেন যাননি প্রধানমন্ত্রী? একের পর এক প্রশ্ন তুলে আক্রমণ শানান তৃণমূল সাংসদ। লোকসভায় রাহুলের বক্তব্যের অংশকে নিজের বক্তৃতায় উল্লেখ করেন কাকলি ঘোষদস্তিদার।
রাজ্যসভায় ডেরেক সরব হন, কেন বাংলার ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা আটকে রাখা হয়েছে? কটাক্ষের সুরে ডেরেক বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণ আসলে সরকারে তৈরি করা চিত্রনাট্য। সরকার যা লিখে দেয়, রাষ্ট্রপতি তাই পড়ে যান। মাদার ইন্ডিয়া, অপুর সংসার, আখরি খত, গরম হাওয়া, সালাম বম্বে, লগানের মতো ১০টি ছবির নাম সামনে রেখে এক একটি ইস্যুতে অভিনব আক্রমণ করেন ডেরেক। তাঁর বক্তৃতা শেষ হতে সোনিয়া গান্ধীকে দেখা যায়, বাহবা দিচ্ছেন। ‘ভেরি গুড।’