পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ
পুলিস সূত্রে খবর, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, মালদহ সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা পুলিসের টার্গেটে ছিল এই শিক্ষক। ট্যাব কাণ্ডে চোপড়া ও ইসলামপুর থেকে ধাপে ধাপে অন্তত ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। তার মধ্যে যেমন পেশাদার সাইবার জালিয়াতরা ছিল, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সিএসপি পরিচালক ও স্কুল শিক্ষক, সাইবার ক্যাফে মালিকদেরও হদিশ মিলেছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ট্যাব কাণ্ডের মাথা জুয়েলের নাম উঠে আসে। পুলিসের অনুমান ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা হাতিয়েছে ওই শিক্ষক। সূত্রের খবর, ৫০ থেকে ৬০ জন বেকার যুবককে সাইবার কেলেঙ্কারি চক্রে যুক্ত করেছিল সে। তাদের কাজে লাগিয়েই জুয়েল রাজ্যের তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট পোর্টালের পাসওয়ার্ড হ্যাক করিয়েছিল। পোর্টালে ছাত্রছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর বদলে দেওয়া হয়। ট্যাবের টাকা হাতাতে স্থানীয় কিছু মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য সংগ্রহ করে ভাড়ায় নেওয়া হয়। শেষে রাজ্য থেকে ট্যাবের টাকা ছাড়া শুরু হতেই হস্তগত করতে থাকে জুয়েল।
পুলিস সূত্রে খবর, ট্যাব কাণ্ডে চোপড়ার প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক দিবাকর দাস গ্রেপ্তার হতেই বিপদ আঁচ করেছিল জুয়েল। বুঝতে পারে যে কোনও সময় পুলিস তাকে ধরবে। গত ১৮ নভেম্বর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জুয়েল মাঝিয়ালি স্কুল থেকে ১৫ দিনের জন্য ছুটি নেয়। মেয়াদ শেষ হলেও, পুলিসের ভয়ে সে আর স্কুলে যোগ দেয়নি। আশ্রয় নিয়েছিল নেপাল সীমান্তবর্তী এলাকায়। পুলিসের চোখে ধুলো দিতে বারবার মোবাইলের সিম কার্ড বদলাতে থাকে জুয়েল। ফলে তাকে ট্র্যাক করা যাচ্ছিল না। বুধবার সকালে ঘিরনিগাঁও এলাকায় নিজের বাড়িতে ফিরে এলে পুলিস তাকে ট্রেস করে ফেলে। পরে ওই বাড়ি থেকেই চোপড়া থানা ও ইসলামপুর জেলা পুলিস যৌথ অভিযানে ট্যাবকাণ্ডের মাথাকে জালে তোলে।
দিবাকরের দাসের সঙ্গে জুয়েলের প্রত্যক্ষ যোগ পেয়েছে পুলিস। জুয়েলকে কলকাতা সহ অন্যান্য জেলার পুলিস হেফাজতে নিতে আগ্রহী। কারণ শুধুমাত্র উত্তর দিনাজপুর জেলার নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ট্যাব কেলেঙ্কারির সঙ্গে জুয়েলের সরাসরি যোগসূত্রের প্রমাণ মিলেছে বলে তদন্তকারীদের সূত্রে খবর।