মানসিক উত্তেজনার বশে ঘরে বাইরে বিবাদে জড়িয়ে অপদস্থ হতে পারেন। হস্তশিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। মনে ... বিশদ
শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিসিপি (পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, আমরা একজনকে কোকেন সহ গ্রেপ্তার করেছি। তাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করে এই চক্রের পান্ডাদের ধরতে অভিযান চালানো হবে। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে কাপড়ের ব্যবসার আড়ালে কোকেনের কারবার চালাচ্ছিল আলি। বাইরে থেকে কোকেন নিয়ে এসে ছোট ছোট প্যাকেটে ভরে সে একাংশ পানশালা ও পাবে বিক্রি করত। খবর পেয়ে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কোকেনের কারবারের পর্দাফাঁস করে এসটিএফ ও খালপাড়া ফাঁড়ির পুলিস। ঘর থেকে উদ্ধার হয় ৯৩ গ্রাম কোকেন সহ নগদ এক লক্ষ টাকা ও দু’টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন। ওই মাদক কোথা থেকে নিয়ে আসা হতো, তা জানতে ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের শীর্ষ আধিকারিকদের কাছে খবর আসে উত্তরবঙ্গের মালদহ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক স্থান থেকে মাদক নিয়ে এসে শিলিগুড়ি শহর ও শহরতলিতে মজুত করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। পাচারকারীরা অনেক ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে ছোটদের। সেক্ষেত্রে পুলিসের হাত থেকে বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করে তারা। মাদক পাচারের ক্ষেত্রে কার্যত গোডাউন হয়ে যাওয়া এলাকা চিহ্নিত করে সেগুলিকে মূল সহ উপড়ে ফেলাই বর্তমানে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাদক পাচারের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালিয়ে বারবার সাফল্য পাচ্ছে পুলিস। তবে গোপন ডেরা বারবার বদলে ‘সাপ্লাই চেন’ অব্যাহত রাখছে পাচারকারীরা। এবারে সেই চেন ভাঙাই পুলিসের প্রধান লক্ষ্য। শিলিগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি বাড়িয়ে ওই সাপ্লাই চেন ভাঙতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এদিনের এই অভিযানও সেই পদক্ষেপের একটি অংশ বলে দাবি করেছেন পুলিসের শীর্ষ কর্তারা। তবে বারবার ছক বদলে অন্য রাস্তা তৈরি রাখছে পাচারকারীরাও।