মানসিক উত্তেজনার বশে ঘরে বাইরে বিবাদে জড়িয়ে অপদস্থ হতে পারেন। হস্তশিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। মনে ... বিশদ
এক্ষেত্রে আরএসএস’র দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগ কার্যবাহ (সাধারণ সম্পাদক) সুকুমার নস্করের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আর্থিকভাবে যথেষ্ট সচ্ছল হওয়া সত্ত্বেও তাঁর স্ত্রী প্রতিমাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা নিচ্ছেন। সুকুমারবাবু দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্তর্গত জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ডহারবার এবং যাদবপুর লোকসভার বিস্তীর্ণ এলাকায় সঙ্ঘের শীর্ষ নেতা। কেবলমাত্র বিজেপি নয়, আরও প্রায় ৩৫টি গেরুয়া মনোভাবাপন্ন সহযোগী সংগঠনে তাঁর নিয়ন্ত্রণ প্রশ্নাতীত। এহেন প্রভাবশালী সঙ্ঘ নেতা পেশায় সরকারি স্কুলের (শ্রীচন্দা এমএনএম ইনস্টিটিউশন) প্রবীণ শিক্ষক। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, মাসে প্রায় ৮০ হাজার টাকা বেতন পান তিনি।
কুলতলির বাসিন্দা সুকুমারবাবু কয়েক বছর আগে থেকে ডায়মন্ডহারবারে পাকাপাকি থাকতে শুরু করেন। তাঁর ভাইপো উৎপল নস্কর বর্তমানে রাজ্য বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদে রয়েছেন। স্বভাবতই সুকুমারবাবুর সঙ্গে বিজেপি তথা সঙ্ঘের অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ।
বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতার অভিযোগ, নিজের পদকে ব্যবহার করে সুকুমারবাবু সংগঠনের ক্ষতি করছেন। তাঁর কাজকর্মে সঙ্ঘের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলেও গেরুয়া শিবিরে চর্চা চলছে। তাঁদের যুক্তি, গত কয়েক বছরে ডায়মন্ডহারবার সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জুড়ে হিন্দুদের উপর আক্রমণ নেমে এসেছে। সেখানে সুকুমারবাবুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিধানসভা, লোকসভায় বিজেপির প্রার্থী মনোনয়নে তাঁর মতামত অত্যন্ত গুরুত্ব পায় বলে বিজেপি নেতাদের দাবি। কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিজেপি ভোটে খাতাই খুলতে পারেনি। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন সুকুমার নস্কর। তবে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁর স্ত্রী দীপিকা নস্কর গত তিন বছর ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা নিচ্ছেন। কেন নিচ্ছেন, সেটা তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করার পরমর্শ দেন। পরে অবশ্য পাল্টা প্রশ্ন করেন, বিজেপি নেতারা সরকারি রেশন সহ একাধিক সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সুবিধা নেন, তাতে দোষ হয় না?