হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
১৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১টা নাগাদ দাদা-ভাইপোকে নিয়ে আত্মহত্যা করতে বেরিয়ে পড়েছিলেন প্রসূন। তার ১৬ দিন পর ফিরলেন। তাও পুলিসের গাড়িতে। মূল দরজা খুলে বেলা ২টো ২৫ নাগাদ তাঁকে ঢোকানো হয় বাড়িতে। তিনটি তলার কোথায় কী রয়েছে, সেটি প্রথমে দেখিয়ে দেন তিনি। সঙ্গে নীচের পার্কিং এরিয়া। দু’তলায় এসে প্রথমেই ঢোকেন মেয়ের ঘরে। তদন্তকারীরা কিছু জিজ্ঞাসা করার আগেই ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করেন প্রসূন। তারপর অঝোরে কান্না। কিছুক্ষণ পর বলতে শুরু করেন, ‘একমাত্র মেয়েটা এখানে শুয়েছিল। তখনও বেঁচে।’ স্ত্রী রোমি কীভাবে মেয়ের পা চেপে ধরলেন এবং তিনি কীভাবে শ্বাসরোধ করলেন, তার পুরোটাই অভিনয় করে দেখান দে পরিবারের ছোট ছেলে। এরপর স্ত্রী ও বউদির ঘর। কীভাবে শিরা কাটা হয়, তার পুনর্নির্মাণ। বালিশ দিয়ে কীভাবে ভাইপোর মুখ তিনি চেপে ধরেছিলেন, সেটাও প্রসূন দেখিয়েছেন আধিকারিকদের। তারপর উপরতলায় গিয়ে দেখান, দাদা প্রণয়ের সঙ্গে কোথায় বসেছিলেন, ছুরি কোথায় রেখেছিলেন এবং কোন বাথরুমে রক্তমাখা জামাকাপড় বদলান। গোটা বিষয়টি ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে। বেলা ৪টে ৫৮ মিনিট নাগাদ তাঁকে নিয়ে বেরিয়ে যান তদন্তকারীরা।
প্রসূন তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই তাঁরা নিজেদের শেষ করে ফেলার পরিকল্পনা করছিলেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ রবিবার ঠিক হয়, ওইদিনই সবাই ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়েস খাবেন। কিন্তু দাদা বলেন, ‘তোর মেয়ের স্কুল রয়েছে সোমবার। আর ওইদিন সকাল থেকেই ড্রাইভার, পরিচারিকা থেকে শুরু করে অন্যরা আসবে। গেট খুলতে হবে। ফোন না ধরলে, বা বন্ধ পেলে সবারই সন্দেহ হবে। আর একসঙ্গে সবাইকে আসতে বারণও করা যাবে না।’ তাই ঠিক হয়, পরদিন রাতে আত্মহত্যা করা হবে। সোমবার সকাল থেকে একে একে জানিয়ে দেওয়া হয়, মেয়ের মঙ্গল ও বুধবার ছুটি। কাজে আসতে হবে না। প্ল্যান চূড়ান্ত রূপ নেয় ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে। পায়েস খান পরিবারের সকলে। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় প্রথমে শ্বাসরোধ করে প্রিয়ংবদা এবং তারপর স্ত্রী ও বউদিকে হাতের শিরা কেটে খুন করেন প্রসূন।