হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
সম্প্রতি গ্রামবাংলায় সমীক্ষা চালিয়ে পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে মোট ৭ লক্ষ ৪৬ হাজার জনকে বার্ধক্য ভাতা পাওয়ার যোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু, কেন্দ্রীয় কোটার অধীনে এরাজ্যের মাত্র দেড় লক্ষ ব্যক্তির নাম ঢোকানো সম্ভব। তাহলে বাকি ৬ লক্ষ ব্যক্তির কী হবে? সূত্রের খবর, এই সমস্ত প্রান্তিক মানুষকে সুরাহা দিতে বাংলার কোটা অন্তত ৬ লক্ষ বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রকে বলা হয়েছে। শুক্রবার এই বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের একটি ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই দাবি জানানো হয় সেখানেই। আচমকা এই প্রস্তাবে কার্যত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান কেন্দ্রের উপস্থিত কর্তারা। কোটা বৃদ্ধির বিষয়ে কেন্দ্র যে দিশাহীন, তাও তাঁদের বক্তব্যে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের প্রশাসনিক মহল থেকে পাওয়া গিয়েছে এই ব্যাখ্যাই।
এই বিষয়ে পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানান, অন্যান্য প্রকল্পের মতো এই প্রকল্পেও যোগ্য প্রাপকদের কাছে ভাতা পৌঁছে দিতে বাংলায় যেভাবে যাচাই প্রক্রিয়া চলে তা অতুলনীয়। এবার দেখার, স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য বাংলার আন্তরিক উদ্যোগ কেন্দ্রের কাছে মর্যাদা পাবে নাকি বঞ্চনার দুষ্ট রীতিই বজায় রাখবে মোদি সরকার।
এনএসএপি প্রকল্পের উপভোক্তাদের জন্য কেন্দ্র ২০০ কোটি দিলে রাজ্যকে দিতে হয় ৬০০ কোটিরও বেশি টাকা। আবার প্রতিবছর বেনিফিসিয়ারিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্দিষ্ট নিয়মে যাচাই পর্বও চলে। আর্থ-সামাজিক জাতি গণনার সাতটি নির্ণায়ক তথ্যের ভিত্তিতে এবছর বিশেষ সমীক্ষা চালানো হয়। তাতেই যোগ্য বার্ধক্য ভাতা প্রাপকদের নাম ঠিক হয়েছে। এই তথ্য হাতে নিয়েই শুক্রবার রাজ্যের কর্তারা বৈঠকে বসেন। অযোগ্য উপভোক্তাদের বাদ দিতে অনেক রাজ্যেই প্রতিবছর নিয়মমাফিক সমীক্ষা হয় না। ফলে সেখানে কোটা পূরণ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। সেক্ষেত্রে তাদের কোটা থেকেই বাংলার বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় কর্তারা অবশ্য এদিন কোনও আশ্বাস দেননি।
এক দশকের বেশিকাল যাবৎ কেন্দ্র কোটা বাড়ায়নি। তাই সমাজকল্যাণ, কৃষি, অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ প্রভৃতি দপ্তরের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কয়েক লক্ষ মানুষকে বার্ধক্য ভাতা প্রদানের সম্পূর্ণ আর্থিক দায়িত্ব পালন করে চলেছে। এখানেই সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, কেন্দ্র অবিলম্বে রাজ্যের কোটা না বাড়ালে সামাজিক কল্যাণ প্রকল্পে বাংলার উপর আর্থিক চাপবৃদ্ধির আশঙ্কা থাকবে।