হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
গোটা ঘটনার ‘রহস্য’ এখানেই শেষ নয়! ঘটনার পর ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে হামলাকারীদের চারজনকে পুলিস গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও, উদ্ধার হয়নি জ্যাকেটটি। পুলিস বলছে, হামলাকারীদের দলের পঞ্চমজনের কাছেই রয়েছে ওই জ্যাকেট। ওই জ্যাকেটেই লুকিয়ে রয়েছে খুনের রহস্য। তার খোঁজ চলছে। তবে সোনার বাট নাকি অন্য কিছু লুকনো ছিল তাতে, তা জানতে ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসারুলের বাড়ি স্বরূপনগরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের তারালি গ্রামে। এদিন সকালে তার পথরোধের পর হামলাকারীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার মাঝে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ইসারুল ঢুকে পড়েছিল রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে। ততক্ষণে তার পরনের জ্যাকেট নিয়ে চম্পট দেয় হামলাকারীরা। সেখানেই বেশ কিছুক্ষণ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে ইসারুল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যায় স্থানীয় শাঁড়াফুল গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানেই মারা যায় সে। পুলিসের অনুমান, পাচার কাজে যে গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত ইসারুল, সম্ভবত ‘ওপার’ থেকে আসা তাদের কোনও ‘কনসাইনমেন্ট’ সে লোপাট করার চেষ্টা চালাচ্ছিল। জ্যাকেটে লুকিয়ে তা অন্যত্র সরানো হচ্ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। সে খবর জেনে গিয়েই গ্যাংয়ের বাকিরা তার উপর চড়াও হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী তাজমা বিবি বলেন, সকালে বাড়ির সামনে কাজ করছিলাম। হঠাৎ দেখি বেশ কয়েকজন এক যুবককে এলোপাথাড়ি মারছে। বলছিল, তোর কাছে যা আছে দিয়ে দে। নইলে রক্ষা নেই। আর তা বলতে বলতেই গুলির আওয়াজ। গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই দৌঁড়ে সে ঘরের ভিতরে ঢুকে যায়। যারা গুলি চালিয়েছিল, তারা বাইকে করে স্বরূপনগর বাজারের দিকে পালিয়ে যায়। তিনিও আরও বলেন,মৃতের পরনে একটি জ্যাকেট ছিল। আর সেই জ্যাকেটের পকেটে কোনও জিনিস ছিল। সেই বস্তুসহ জ্যাকেটটি খুলে নিয়ে দুষ্কৃতীরা পালায়। বসিরহাট পুলিস জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, চারজনকে ইতিমধ্যে ধরা হয়েছে এলাকার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে। তারা এই ঘটনার কথা স্বীকারও করেছে। জেরা করে আসল কারণ জানা হবে। তাছাড়া জ্যাকেটের রহস্য জানতে চারজনকে আলাদা আলাদা করে জেরা করা হচ্ছে।