কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
ঘটনাস্থল রাজ্যের সমাজকল্যাণ দপ্তর, সল্টলেকের শৈশালী ভবনের সামনে। মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়েই সেখানে হাজির হয় বিধাননগর উত্তর থানার পুলিস। ভাই-বোনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় তারা। মেয়েটির বয়স ১১ বছর, ভাইয়ের ৭ বছর। কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হস্তক্ষেপে হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে দু’জনকে। কিন্তু, তারা সল্টলেকে এল কীভাবে? উদ্ধারের পর তাদের পরিবারের খোঁজ শুরু করে পুলিস। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই ভাই-বোনের আসল বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। বছর দেড়েক ধরে বাবা-মা একসঙ্গে থাকেন না। কার্যত ‘বিচ্ছেদ’। দুই সন্তানকে নিয়ে মা ভাড়া থাকতেন টালিগঞ্জে। আর্থিক ও পরিবারিক সমস্যার জেরে দুই সন্তানকে সমাজকল্যাণ দপ্তরের অধীন কটেজ হোমে ভর্তি করতে চেয়েছিলেন তিনি। সোমবার সকালে সেজন্যই এসেছিলেন শৈশালী ভবনে। কিন্তু, ওইদিন ছিল ছুটি। তাও তিনজনে ওই ভবনের সামনে বসেছিলেন। পাশেই দীনেশ শীলের চায়ের দোকান। এদিন তিনি বলেন, ‘আমি ওদের মাকে বলেছিলাম। আজ ছুটি, বাড়ি ফিরে যান। অন্যদিন আসবেন। কিন্তু, রাত পর্যন্ত ওরা বসে থাকল। আমায় বলল, ফিরব না। আমি যখন দোকান বন্ধ করি, তখন দেখলাম, সেন্ট্রাল পার্ক মেট্রো স্টেশনের দিকে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেল। আজ সকালে দোকান খুলতে এসে দেখি, শিশু দু’টি ফুটপাতে বসে অঝোরে কাঁদছে। ওদের মা নেই। তিনি সন্তানদের রেখে চলে গিয়েছেন!’
দপ্তর সূত্রে খবর, ভাই-বোনের ভর্তির অর্ডার হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, তা সত্ত্বেও অফিসের সামনে সন্তানদের ফেলে রেখে গিয়েছেন মা। পুলিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে, দুই শিশুর বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা গিয়েছে। বর্তমানে তিনি ওড়িশায় রয়েছেন। আজ, বুধবার তাঁর শহরে আসার কথা।