কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
পুলিস সূত্রে খবর, সোমবার সরস্বতীর পুজোর রাতে স্বামীর সঙ্গে অশান্তি হয় তুলিকার। এরপরেই ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন তিনি। জানালা বাইরে থেকে লক ছিল। সেই জানালা খুলে স্বামী দিবাকর দেখেন, সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছেন স্ত্রী। দিবাকরের দাবি, গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছিলেন তাঁর স্ত্রী। আঁতকে ওঠেন তিনি। জানালা দিয়েই ঘরের ভিতর প্রবেশ করেন দিবাকর। তিনি পুলিসকে জানিয়েছেন, সিলিং ফ্যান থেকে ওড়না খুলে স্ত্রীকে বিছানাতে শুইয়ে দেন। এরপরেই পরিবারের বাকি সদস্যদের বিষয়টি জানান। দিবাকর ১০০ ডায়ালে ফোন করে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বেলেঘাটা থানার পুলিস। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা দেখেন, তুলিকার গলায় ‘লাইগেচার’ মার্ক বা ফাঁস দেওয়ার কালো দাগ রয়েছে। সেই অবস্থাতেই গৃহবধূকে উদ্ধার করে এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ইমার্জেন্সি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে পুলিস। লালবাজার জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। কীভাবে মৃত্যু হল গৃহবধূর? মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট করতে গৃহবধূর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিস। প্রাথমিক রিপোর্টে ইঙ্গিত, আত্মঘাতীই হয়েছেন তুলিকা। এরপরেই পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে বেলেঘাটা থানায় মৃতের স্বামী, শাশুড়ি, মামা শ্বশুর ও মামি শাশুড়ির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তুলিকার বাবা গৌতম মিত্র। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মেয়ের উপর অত্যাচার চালাত শ্বশুরবাড়ির পরিবার। পাশাপাশি, বাপের বাড়ি থেকে মোটা টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দেওয়া হতো বলেও অভিযোগ। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরেই মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে বলে দাবি মৃতের বাবার। তাঁর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পণের বলি, গৃহবধূর উপর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের অত্যাচারের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে বেলেঘাটা থানার পুলিস। এদিনই ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত স্বামী দিবাকরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস।