কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধাপার বইসতলার বাসিন্দা ওষুধ ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার ব্যবসায় মন্দা চলার কারণে টাকা ধার নেওয়ার জন্য বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলেন। এলাকারই একজন জানায় কলকাতা পুরসভার ঠিকা শ্রমিক সঞ্জয় রজক নামে টাকা ধার দেন চড়া সুদে। দিলীপ যোগাযোগ করলে সঞ্জয় ১৫ শতাংশ সুদে টাকা ধার দিতে রাজি হয়। লিখিত চুক্তি করে বছরখানেক আগে দেড় লক্ষ টাকা ধার নেন দিলীপ। তিনি দু’লক্ষ টাকা মেটালেও, সুদ বাবদ আরও দেড় লক্ষ টাকা পাওনা ছিল। কিন্তু ব্যবসা খারাপ চলায় টাকা মেটাতে পারছিলেন না।
তদন্তে উঠে এসেছে, বারবার ফোন করে টাকার দাবি করে সঞ্জয়। তাতে কাজ না হওয়ায় সে ঠিক করে ব্যবসায়ীর বাড়িতে গিয়ে হামলা করবে। সেই পরিকল্পনামতো সোমবার বেলা দুটো নাগাদ তাঁর বাড়িতে সঞ্জয় দলবল নিয়ে হাজির হয়। কিন্তু দিলীপবাবু বাড়িতে ছিলেন না। স্ত্রী ও উনিশ বছরের ছেলে বাড়িতে ছিলেন। ব্যবসায়ী পুত্রের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে তাঁকে বাইরে নিয়ে এসে একটি গাড়িতে তোলে অভিযুক্তরা। তিনি চিৎকার করলে মারতে থাকে অভিযুক্তরা। এরপর গাড়ির ভিতরেও তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ওই কিশোরের মোবাইল থেকে অপহরণকারীরা ভিডিও কল করে তাঁর বাবাকে। ব্যবসায়ী পুত্র জানান. তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ফোন কেটে দেওয়া হয়। এরপর সঞ্জয় নিজের ফোন থেকে ব্যবসায়ীকে ফোন করে দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে পিলখানায় আসতে বলে। এই টাকা মেটালে, তবে তাঁর ছেলেকে ছাড়া হবে বলে জানায়। এরপরই ব্যবসায়ী প্রগতি ময়দান থানায় এসে অপহরণের অভিযোগ করেন।
ওই ব্যবসায়ীকে পুলিস জানায়, অপহরণকারীদের কথামতো কাজ করতে। সেইমতো তিনি জানান, এই টাকা নিয়ে আসছেন। পিছু নেয় পুলিসের টিমও। তদন্তকারী অফিসাররা অপহরণকারী সঞ্জয়ের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন দেখে জানতে পারে, তার অবস্থান হাওড়ার পিলখানায়। সেখানে পৌঁছে পুলিস বাড়ি ঘিরে ফেলে। উদ্ধার করা হয় অপহৃত কিশোরকে। পালানোর আগেই ধরা পড়ে যায় চার অপহরণকারী। ধৃত সঞ্জয়কে জেরা করে জানা যায়, তার পরিকল্পনামতো গোটা অপারেশন করা হয়েছে। যে গাড়িতে ব্যবসায়ী পুত্রকে অপহরণ করা হয় সেটি তার। পুরসভার ঠিকা কর্মী হওয়ায় কেএমসির বোর্ড লাগানো ছিল। তাকে জেরা করে গাড়িটি উদ্ধার করে পুলিস। অভিযুক্তদের অপরাধের ইতিহাস আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।