কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
কয়েকদিনের টানা কুয়াশা ও মেঘলা আবহাওয়ার কারণে প্রায় প্রতিটি ব্লকেই কমবেশি ডগা পচা (আলু গাছের কাণ্ডে পচন ধরা) রোগ দেখা দিয়েছে। এর ফলে নষ্ট হচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমির আলু গাছ। তারকেশ্বর ব্লকে প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। সন্তোষপুর গ্রামের চাষি পরেশ ভৌমিক ও রমেন খাঁ বলেন, চন্দ্রমুখী ও হেমাঙ্গিনী আলু গাছের ক্ষতি হয়েছে বেশি। তুলনায় জ্যোতি আলু গাছের ক্ষতি কম হয়েছে। এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে প্রায় তিন বস্তা আলু বীজ লাগে। খরচ পড়ে ২৮-৩০ হাজার টাকা। এই রোগের মোকাবিলায় প্রচুর ওষুধ দিতে হয়। ২০০ গ্রাম ওষুধের দাম ৯০০ টাকা। মজুরি ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে বিঘা পিছু আরও ২ হাজার টাকা খরচ পড়ে।
হুগলিতে আলু চাষের সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারকেশ্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি প্রদীপ সিংহ রায়। তিনি বলেন, ডগা পচা রোগে ক্ষয়ক্ষতি ও তার পরিচর্যার নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার পরিদর্শনে এসেছিলেন রাজ্যের কৃষিদপ্তরের জয়েন্ট ডিরেক্টর দীপঙ্কর রায়। তারকেশ্বরের বালিগড়ি, পূর্ব-রামনগর ও ধনেখালি এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। হুগলি জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মদনমোহন কোলে বলেন, জেলার প্রায় সবকটি ব্লকে আলু গাছে কমবেশি ডগা পচা রোগ হয়েছে। ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও ওষুধ সরবরাহ করা হবে চাষিদের। কৃষিদপ্তর তাঁদের পাশে রয়েছে।