কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
সরস্বতী পুজোর শোভাযাত্রা আয়োজক কমিটির অন্যতম কর্তা তথা চুঁচুড়া পুরসভার কাউন্সিলার ঝন্টু বিশ্বাস বলেন, আমরা সমস্ত আয়োজন নিপুণভাবে করেছি। কিন্তু তারপরেও শোভাযাত্রা যে রূপ নিয়ে দর্শকদের কাছে হাজির হয়েছে, তাতেই নিজেই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। শহর চুঁচুড়ায় বহু বছর আগে সরস্বতী পুজোর ভাসানযাত্রার চল ছিল। শিল্পীদের আত্মপ্রকাশের মঞ্চ ছিল। মাঝে কিছু বছর নানা কারণে তা হারিয়ে গিয়েছিল। আমরা সেই ঐতিহ্যকে ফেরানোই শুধু নয়, নতুন করে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। অন্তত মঙ্গলবার রাতের দর্শক সমাগম থেকে সেই বার্তাই মিলেছে।
শহরের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের কর্মী সৌমিত্র সিংহ বলেন, সত্যিই বর্ণময় আয়োজন। আলোকশিল্প থেকে মূর্তি ও মণ্ডপশিল্পের বেনজির যুগলবন্দি দেখেছি। একটি স্মরণীয় রাত উদযাপন করেছি। কাজের প্রয়োজনে ভদ্রেশ্বর থেকে মঙ্গলবার চুঁচুড়ায় এসেছিলেন করবী দাস। তিনি বলেন, চন্দননগরের শোভাযাত্রা তো বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। চুঁচুড়ায় সরস্বতীর ভাসানযাত্রার আয়োজনে সেই একইরকম মুগ্ধ হয়েছি।
প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল আগেই। শোভাযাত্রার উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি পথে নেমেছিল পুরসভাও। পরিষ্কার করা হয়েছিল পিপুলপাতি, গঙ্গাপাড়ের বিরাট এলাকা সহ শোভাযাত্রার পথ। আর মঙ্গলবার সন্ধ্যা গড়াতেই ব্যান্ডেল চার্চ ও হুগলি জেলা সংশোধনাগারের সামনে থেকে একের পর এক বেরিয়ে আসতে শুরু করে শোভাযাত্রার গাড়ি। মোট ২৬টি সরস্বতী পুজো কমিটি শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিল। যে সংখ্যা গতবারের থেকে অনেকটাই বেশি। কোথাও আলোকসজ্জার বাহার, তো কোথাও মণ্ডপসজ্জার দর্শনীয় প্রদর্শনী। এদিন সন্ধ্যার আগে থেকেই পথের দু’ধারে ছিল থিকথিকে ভিড়। শোভাযাত্রা শুরু হওয়ার পরে সেই ভিড়ের চোখের ভাষা ছিল একটাই, প্রশ্নহীন মুগ্ধতা।-নিজস্ব চিত্র