কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
লালবাজার জানিয়েছে, সাঁতরাগাছি-শিয়ালদহ রুটের এই বাস ব্রেক ফেল করে একটি পণ্যবাহী গাড়ি ও দু’টি চারচাকা গাড়িতে ধাক্কা দিয়েছে। প্রবল সংঘর্ষে মাঝ রাস্তায় উল্টে যায় পণ্যবাহী গাড়িটি। ধাক্কার চোটে অন্য গাড়ি দু’টির সামনের অংশ পুরোপুরি তুবড়ে যায়। বাসে থাকা ৯ যাত্রী গুরুতর জখম। আহতদের মধ্যে সাতজন মহিলা। তাঁদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারের ‘হলুদ’ জোনে ভর্তি করা হয়েছে। আহতের নাম সমৃতি মণ্ডল (২৯)। তিনি হাওড়ার উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা। দুর্ঘটনার জেরে তাঁর মাথায় গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। বাসের বাকি আট যাত্রীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় হেস্টিংস থানা ও বিদ্যাসাগর ট্রাফিক গার্ডের পুলিস। প্রাথমিক চিকিৎসার পর আহতদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাসের চালককে গ্রেপ্তার করেছে হেস্টিংস থানা। চালকের নাম শেখ আকবর। বেপরোয়া গতিতে বাস চালানোর অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে।
দুর্ঘটনার জেরে সাঁতরাগাছি-শিয়ালদহ রুটের (ডব্লুবি ১১সি ২৯৯১) বাসের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে হেস্টিংস থানা। বাসটির ‘ফিটনেস’ সার্টিফিকেটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। পরিবহণ দপ্তরের তথ্য অনুয়ায়ী, ৯ জানুয়ারি বাসটির ফিটনেস সার্টিফিকেটের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। তারপর মাসখানেক ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়াই হাওড়া ও কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল রাস্তায় যাত্রী নিয়ে চলাচল করছিল বাসটি। তদন্তকারীদের বক্তব্য, ‘দুর্ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে বাসের ‘ব্রেক ফেল’ করে গিয়েছে। তার জেরে ব্রিজ থেকে নামার সময় গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি চালক। সরাসরি গিয়ে অন্য গাড়িকে ধাক্কা দেন।’ সুতৃপ্ত দাস নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ‘গতি এতটাই বেশি ছিল যে, সংঘর্ষের জেরে উল্টে যায় মালবাহী ‘ছোটা হাতি’ গাড়িটি। রাস্তায় ঘষটে প্রায় ১০ ফুট এগিয়ে যায় গাড়ি। অন্যদিকে বেগতিক বুঝে বাসের চাকা সোজা ফুটপাতের উপর তুলে দেন চালক। অল্পের জন্য বহু পথচারীর প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।’
দুর্ঘটনার জেরে এদিন সকালে দ্বিতীয় হুগলি সেতু পর্যন্ত তীব্র যানজট তৈরি হয়। পুলিস দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িগুলি দ্রুত সরিয়ে নিয়েছে বলে কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।