কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
রেলের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ এবং রেল হকারদের উপর আরপিএফের সীমাহীন অত্যাচারের প্রতিবাদ, রেলের সমস্ত ঠিকা শ্রমিকের ন্যূনতম বেতন নিশ্চিত করা ও শ্রমকোড বাতিলের দাবিতে এদিন শিলায়দহ ডিআরএম বিল্ডিংয়ের সামনে সভা করে আইএনটিটিইউসি। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি সহ বিভিন্ন জেলার আইএনটিটিইউসি সদস্যরা হাজির হন সভায়। অল বেঙ্গল তৃণমূল রেলওয়ে হকার্স ইউনিয়নের ব্যানারে এই সভার ডাক দেওয়া হয়েছিল। এদিন বিভিন্ন দাবিতে ডিআরএমের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় আইএনটিটিইউসি। সভায় সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে রেলকে বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। রেল বাজেটকে সাধারণ বাজেটের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া তার একটি ধাপ। এছাড়া, বুলেট ট্রেন নিয়ে ঘোষণা হলেও তারপর কেন্দ্রের আর কোনও উচ্চবাচ্য নেই। সামগ্রিকভাবেই দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্র যে কোনওদিন রেলকে বেসরকারি হাতে তুলে দিতে তৎপর।’
এছাড়া, রেল হকারদের উপর পুলিসের জুলুম চলছে বলে অভিযোগ আইএনটিটিইউসি নেতৃত্বের। ঋতব্রত বলেন, ‘হকারদের উপর জুলুম, অত্যাচার লেগেই রয়েছে। তাঁরা যাতে ব্যবসা করতে না পারেন, সেই চেষ্টাই করছে রেল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মতো অবস্থা। কিন্তু রেল হকাররার রেলেরই অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। রেললাইন যবে থেকে পাতা হয়েছে, তবে থেকেই হকাররাও যুক্ত হয়ে গিয়েছেন।’
এই অবস্থায় রেল হকারদের স্বার্থে এবং বেসরকারিকরণ থেকে দেশের ‘লাইফলাইন’কে বাঁচাতে আগামী দিনে আন্দোলন তীব্রতর করার আহ্বান জানিয়েছে আইএনটিটিইউসি। প্রয়োজনে রেল হকারদের নিয়ে দিল্লিতে রেল ভবন অভিযান করা হবে বলে জানান ঋতব্রত। এই সভায় সংগঠনের নেতা স্বপন সমাদ্দার, সোমনাথ শ্যামরা রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁদের বক্তব্য, যাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবছে না রেল। তার উপর প্রতিদিন ট্রেন বাতিল, নির্ধারিত সময়ের থেকে দেরিতে চলছে ট্রেন। রেল ও রেল হকারদের বাঁচিয়ে রাখতে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।