মানসিক উত্তেজনার বশে ঘরে বাইরে বিবাদে জড়িয়ে অপদস্থ হতে পারেন। হস্তশিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। মনে ... বিশদ
বর্তমানে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর দু’টি বিচ্ছিন্ন রুট চালু রয়েছে। এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত মেট্রো লাইনের কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় বিচ্ছিন্নভাবে দু’টি রুটে পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তার জন্য দু’টি পৃথক সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে সিগন্যালিং ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছিল। রেলের এক শীর্ষকর্তার কথায়, ‘গোটা রুটে মেট্রো চালু করতে গেলে একটি অভিন্ন সিগন্যালিং ব্যবস্থা প্রয়োজন। তাই পুরনো সিগন্যালিং বাদ দিয়ে নতুন ও অভিন্ন ব্যবস্থা করতে হবে। সেই কাজের জন্য দেড় মাস মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকবে।’ তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘কমিউনিকেশনস বেসড ট্রেন কন্ট্রোল’ (সিবিটিসি) সিগন্যালিং সিস্টেমে চলছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। এই ব্যবস্থায় কোনও চালক ছাড়াই মেট্রো চলাচল করতে পারে। অতিরিক্ত গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ থেকে লাল সিগন্যাল না ভাঙা—যাত্রী সুরক্ষার স্বার্থে একাধিক আধুনিক প্রযুক্তির মিশেল রয়েছে সিটিবিসিতে। লন্ডন, মস্কো সহ পৃথিবীর প্রথম সারির শহরগুলিতে মেট্রোরেল চলে এই সিগন্যালিং ব্যবস্থার মাধ্যমেই। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রুটে এই সিগন্যালিং ব্যবস্থা বসানোর দায়িত্ব পেয়েছে ফ্রান্সের একটি সংস্থা। তারা অবশ্য দু’টি বন্ধ রেখে এই কাজ করার জন্য আরও বেশি সময় চেয়েছিল। কিন্তু যাত্রী ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে রেলবোর্ড সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। এদিকে, দেশ-বিদেশের একাধিক বিশেষজ্ঞ জানিয়ে দেন, সিবিটিসি সিগন্যালিং ব্যবস্থা কার্যকর করতে গেলে কিছুদিন মেট্রো বন্ধ রাখতেই হবে।
অবশেষে দেড় মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার শর্তে ফরাসি ওই সংস্থাকে দায়িত্ব দেয় রেলবোর্ড। উল্লেখ্য, ইস্ট –ওয়েস্ট মেট্রোর সম্পূর্ণ রুট চালু হলে হাওড়া স্টেশন থেকে শিয়ালদহ স্টেশন মাত্র ১১ মিনিটে পৌঁছনো সম্ভব হবে। এখন সড়ক পথে হাওড়া-শিয়ালদহ যাতায়াত করতে কমবেশি ১ ঘণ্টা লেগে যায়। সবটাই নির্ভর করে ব্যস্ত শহরে কোনদিন কতটা যানজট হচ্ছে, তার উপর। সিবিটিসি সিগন্যালিং ব্যবস্থার মাধ্যমে ইস্ট-ওয়েস্টের সম্পূর্ণ রুট চালু হয়ে গেলে মাত্র দেড় মিনিটের ব্যবধানে দুই প্রান্ত থেকে মেট্রো পরিষেবা দেওয়া সম্ভব। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন ৮ লক্ষের বেশি যাত্রী বহনে সক্ষম হবে শহরবাসীর বহু প্রতীক্ষিত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো।