মানসিক উত্তেজনার বশে ঘরে বাইরে বিবাদে জড়িয়ে অপদস্থ হতে পারেন। হস্তশিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। মনে ... বিশদ
স্টেশন থেকে বেরবার পথে ডানহাতের দেওয়ালে তিন অমর বিপ্লবীর ভুল ছবি-পরিচয় আঁকা জ্বলজ্বল করছে। কলকাতা পুরসভার এ হেন বিভ্রান্তি দেখে চোখ কপালে গবেষকদের। ইতিহাস সচেতন মানুষ দেওয়াল দেখে মুখ টিপে হাসছেন। প্রথম দেওয়ালচিত্রে জ্বলজ্বল করছে বিনয় বসুর নাম। কিন্তু নামের পাশের ছবিটি তাঁর নয়। চশমা পরা দীনেশ গুপ্ত’র ছবিজুড়ে দেওয়া হয়েছে বিনয় বসু’র নামের সঙ্গে। তার পাশে দীনেশ গুপ্তের নামের সঙ্গে আঁকা রয়েছে বিনয় বসুর ছবি। সবমিলিয়ে চূড়ান্ত বিভ্রান্তি। বাদল-দীনেশ, এই দুই বিপ্লবীর পদবিই ‘গুপ্ত’। কিন্তু দেওয়ালচিত্রে অবাঙালি ঢঙে লেখা রয়েছে ‘গুপ্তা’। ‘কবে তাঁরা অবাঙালি হলেন?’ প্রশ্ন মানুষের। মারাত্মক ত্রুটি বিপ্লবী বিনয় বসুর মৃত্যু দিবস নিয়েও। ইতিহাস অনুযায়ী, বিপ্লবীর মৃত্যু তারিখ ১৯৩০ সালের ১৩ ডিসেম্বর। অথচ দেওয়াল চিত্রে লেখা, ‘১১ ডিসেম্বর, ১৯৩০’। একই ভুল দীনেশ গুপ্তর জন্ম তারিখ নিয়েও। ইতিহাস অনুযায়ী, বিপ্লবী জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯১১ সালের ৬ ডিসেম্বর। পুরসভার আঁকা দেওয়াল চিত্রে উল্টো বয়ান। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘১৯১১ সালের সাত ডিসেম্বর দীনেশ গুপ্ত’র জন্ম।’
শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরে সৌন্দর্যায়নের এই কাজ করেছে কলকাতা পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড। কাউন্সিলার শচীন কুমার সিংকে বিভ্রাট সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে বলেন, ‘ওই এলাকা হকার দখল করে রাখে, তাই বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। ভুল শুধরে দেওয়া হবে।’ আর কলকাতা পুরসভার সচিবালয়ের এক আধিকারিক বলেন, ‘এমন হয়ে থাকলে সেটি অবিলম্বে ঠিক করা হবে। এসব ক্ষেত্রে কাউন্সিলাররা সাধারণত সৌন্দর্যায়নের কাজ করে থাকেন। পুরসভার সরাসরি ভূমিকা থাকে না। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।’ ইতিহাসের এক গবেষকের বক্তব্য, ‘ আমরা ইতিহাস বিস্মৃত। তবে কলকাতা পুরসভার মতো দায়িত্বপূর্ণ একটি সংস্থা এ হেন ভুল করবে তা ভাবতে বাঙালি হিসেবে লজ্জা লাগছে।’ পথচলতি মানুষের বক্তব্য, ‘ভাবা যায়, বিনয়, বাদল, দীনেশকে পর্যন্ত চেনেন না ওঁরা!’