মানসিক উত্তেজনার বশে ঘরে বাইরে বিবাদে জড়িয়ে অপদস্থ হতে পারেন। হস্তশিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। মনে ... বিশদ
লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের তদন্ত বলছে, নভেম্বর মাসে প্রায় পুরো সময়েই পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লকারের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল। সেই সময়েই নকল চাবি দিয়ে অপারেশনে নামে অভিযুক্ত। মহিলা ব্যবসায়ীর অভিযোগ, প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার হিরে ও সোনার গয়না লোপাট হয়েছে। সেই তদন্তে লালবাজারের দাবি, নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি মোটা টাকার লেনদেন হয় মৌমিতার অ্যাকাউন্টে। সেই তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে জেরায় ধৃত লকার ম্যানেজার পুলিসকে জানিয়েছে, সেই সময়েই ছ’দিনে বিপুল পরিমাণ গয়না হাতিয়েছে সে। দাদা মিঠুন প্রথম থেকেই চুরির ব্লু-প্রিন্টে শামিল ছিল। প্রতিদিন বিকেলে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময় কিছু কিছু করে গয়না নিয়ে যেত মৌমিতা। পরের দিন সকালে সেই গয়না বিক্রি করতে মাঠে নামত মিঠুন। শহরের বিভিন্ন স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে সেগুলি বিক্রি করা হতো। কেন এমন পরিকল্পনা? পুলিসি জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, কোনও কারণে পুলিস কেস হলে তাঁদের বাড়ি থেকে যাতে লকারের গয়না না মেলে, তাই এমন প্ল্যান।
একই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে হাতানো সোনার সম্পূর্ণটা বিক্রি করা হয়নি। অভিযুক্তদের দাবি, কোনওরকম সন্দেহ এড়াতে পাঁচজন আলাদা ব্যবসায়ীর কাছে সেই গয়না বেচে দেওয়া হয়। সেই ব্যবসায়ী কারা? তদন্তকারীদের স্ক্যানারে রয়েছেন শহরের পাঁচ স্বর্ণ ব্যবসায়ী। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লালবাজারে ডেকে পাঠানো হতে পারে বলে খবর। কাকে কত পরিমাণ সোনা বিক্রি করা হয়েছিল, কত দামে বিক্রি হয়, তাঁদের কাছে ধৃত দু’জনেই যেতেন কি না, সবটাই জিজ্ঞাসা করবেন গোয়েন্দারা।
অন্যদিকে, সোনা বেচে পাওয়া নগদও বেশি দিন বাড়িতে ফেলে রাখা হতো না। প্রমাণ লোপাটে তা দিয়ে প্রথমেই ২৭ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি ইনোভা গাড়ি কেনা হয়। মিঠুনের নামেই সেটি কিনে ভাড়া দিয়ে দেওয়া হয় কোল ইন্ডিয়ায় এক অফিসারের কাছে। এরপরে নিজেদের শখ আহ্লাদ মেটাতে আইফোন কেনে দুই ভাই-বোন। একমাসের মধ্যে নগদে কেনা হয় বিপুল ৭৪ ভরি সোনার গয়নাও।