বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
১৮৭১ সালে কলকাতা পুরসভার একটি কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, ইংরেজ সাহবেদের জন্য একটি পৃথক বাজার গড়ে তোলা হবে। সেই মতো ইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়ে কোম্পানির আর্কিটেক্টকে দিয়ে নকশা তৈরি করানো হয়। ম্যাকিনটস বার্ন বাজারটি তৈরি করে। বাজার চালু হয় ১৮৭৪ সালের ১ জানুয়ারি। পরবর্তী সময়ে ১৯০৩ সালে কলকাতা পুরসভার চেয়ারম্যান স্যর স্টুয়ার্ট হগের নামে এই বাজারের নামকরণ হয় ‘হগ মার্কেট’। কালের নিয়মে সেই বাজার এখন জরাজীর্ণ। বিখ্যাত ক্লক টাওয়ারের ঘড়িটিও গত কয়েক বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। ক্ষয় ধরেছে মার্কেট ভবনের ভিক্টোরিয়ান গথিক স্থাপত্যে। তাই পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জোড়াতাপ্পি দেওয়া কাজ নয়। হগ সাহেবের মার্কেটের ১৫০ বছর পূর্তিতে বাজারকে নয়া রূপ দেওয়ার কাজ শুরু হবে। সেই মতো ২০২২ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পুরসভার এক কর্তা বলেন, পুরনো আমলের নকশায় তৈরি নিউ মার্কেট। যাদবপুরের প্রস্তাব অনুসারে মাটির তলায় ভবনের কাঠামোর ভিতের চারদিকে ২.৯ কিমি দীর্ঘ ‘টাই বিম’ দিতে হবে। তারপর ভূমিকম্প হলেও সেই ধাক্কা সামলাতে সক্ষম হবে ভবন। কিন্তু মূল কাঠামো বরাবর বহু দোকানপাট রয়েছে। এই কাজ করতে গেলে তাঁদের আপাতত সরাতেই হবে। এ প্রসঙ্গে আমিরুদ্দিন (ববি) বলেন, ‘বিল্ডিং, বাজার, ইঞ্জিনিয়ারিং, হেরিটেজ সহ বিভিন্ন বিভাগের কর্তাদের নিয়ে বৃহস্পতিবার নিউ মার্কেট ঘুরে দেখা হবে। কোথায় কী ধরনের কাজ হবে, তার জন্য ক’টি দোকান সরাতে হবে, কতগুলি ধাপে কাজ করতে হবে—এরকম বিষয়গুলি চূড়ান্ত হবে সরেজেমিনে পরিস্থিতি যাচাইয়ের পর।