বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
তামাং, খস, লেপচা, ভুটিয়া, শেরপার মতো পাহাড়ের প্রান্তিক মানুষদের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য গত ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে পৃথক পর্ষদ গঠনের কাজ শুরু করান মমতা। এখনও পর্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তরের অধীনে ১৪টি, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের অধীনে দু’টি এবং সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের নিয়ন্ত্রণে একটি পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। প্রশাসনের ওই সূত্রটি জানিয়েছে, নবান্নে জমা পড়া ভূরি ভূরি অভিযোগের সিংহভাগই পাহাড়ের জনগোষ্ঠীর জন্য গঠিত উন্নয়ন পর্ষদগুলির বিরুদ্ধে। উল্লেখ করা যেতে পারে, গৃহহীনদের বাড়ি, কমিউনিটি হল, শৌচাগার, পানীয় জলের ব্যবস্থা তৈরি সহ নানা কাজে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০০ কোটি টাকা দিয়েছে নবান্ন।
এদিকে, এদিনের বৈঠকেই চা-বাগানের ভূমিহীন শ্রমিকদের পাট্টা প্রদানের কাজ আরও তরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার ৫৫ হাজার চা-বাগান শ্রমিককে পাট্টা বিলি করেছে। মমতা বলেছেন, জেলাশাসকদের পাট্টা বিলির জন্য আরও জমি খুঁজতে বলা হয়েছে। পাহাড়ের যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের বিষয়েও বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এখানকার যুবক-যুবতীদের উৎকর্ষ বৃদ্ধির জন্য তিনমাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে বিভিন্ন সংস্থায় তাঁদের নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি ওয়েব পোর্টাল খোলা হচ্ছে। পাহাড় ও সমতলের জন্য পিপিপি মডেলে জেলায় জেলায় ‘হাব’ তৈরি হচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উৎপাদিত সামগ্রী সেখানে বিক্রি করার ব্যবস্থাও থাকবে।