বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস মনে করছে, মালদহের বৈষ্ণবনগর থেকে ধৃত কম্পিউটার ডিপ্লোমাধারী হাসেম আলি এই চক্রের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড। ধৃত সিদ্দিক হোসেন, মোবারক হোসেন এবং আসিরুল হক কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়েছে। তাদের সঙ্গে কিষানগঞ্জের যোগ রয়েছে। ঝাড়খণ্ড এবং বিহারের কয়েকজন প্রতারককেও পুলিস খুঁজছে। কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান সহ বিভিন্ন জেলায় ট্যাবের টাকা না পেয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে। প্রতারকরা কীভাবে সরকারি পোর্টালের ‘অ্যাকসেস’ পেল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, শিক্ষাদপ্তরের কেউ পাসওয়ার্ড না দিলে সেখানে ঢোকা যায় না। খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কে বা কারা রয়েছে এর নেপথ্যে? পুলিস জানতে পেরেছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পড়ুয়াদের টাকা ভিন রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর, মালদহ এবং মুর্শিদাবাদেরও কয়েকটি অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের পড়ুয়াদের টাকা মালদহ এবং উত্তর দিনাজপুরের ২৮টি অ্যাকাউন্টে প্রতারকরা হস্তান্তর করেছিল। তার মধ্যে ২৫টি অ্যাকাউন্টের টাকা বাজেয়াপ্ত করা গিয়েছে। অথচ যাঁদের নামে অ্যাকাউন্ট, তাঁরা কিছুই জানতেন না বলে জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, ধৃতদের মধ্যে একজনের সাইবার কাফে ছিল। সে গ্রামবাসীদের অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ করে দিত। তবে কয়েকটি অ্যাকাউন্ট অনেক পুরনো। সেগুলিতে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়। তারপরও কেন অ্যাকাউন্ট মালিকরা তা টের পেলেন না, সেটাও পুলিস খোঁজ নিয়ে দেখছে।
এক আধিকারিক বলেন, প্রতারকরা জুলাই মাসে ‘বাংলার শিক্ষা পোর্টালে’ অ্যাকসেস নেয়। পূর্ব বর্ধমানের পুলিস সুপার সায়ক দাস বলেন, ‘এই গ্যাংয়ের সঙ্গে আরও কয়েকজন যুক্ত রয়েছে। তাদের খোঁজেও তল্লাশি শুরু হয়েছে।’ সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুরে চণ্ডীপুর থানায় ২টি, তমলুকে ১টি অভিযোগ হয়েছে। সুন্দরবন পুলিস জেলার সাগর থানা, মুর্শিদাবাদ পুলিস জেলার সালার থানায় একটি করে অভিযোগ জমা পড়েছে। গঙ্গাসাগরের মহেন্দ্রগঞ্জ হাইস্কুলে ৩১ জনের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি। কলকাতার সরশুনা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩০ জন ছাত্র সংশ্লিষ্ট থানায় ও যাদবপুর থানায় ১২ জন ছাত্র টাকা না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছে। কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এদিন বলেন, ‘পুরো বিষয়টি পুলিসকে প্রশাসনিক স্তরে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। রাজ্যের কিছু জেলায় আজই কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা এধরনের অসাধু কাজ করছে, তাদের কেউই ছাড় পাবেন না।’ তাঁর সংযোজন, ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টারকে (এনআইসি) পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এনআইসি ইতিমধ্যে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) প্রস্তাব করেছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এ ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন।