বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
চলতি বছরের শুরু থেকেই পানিহাটি পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা রামচন্দ্রপুর ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আবর্জনা ফেলা বন্ধ করে দেওয়ার পর পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। নগোরন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের উদ্যোগে পানিহাটির আবর্জনা ধাপায় ফেলার কাজ শুরু হয়। তাতে সাময়িকভাবে সমস্যা মিটেছিল। প্রথম দিকে প্রতিদিন দুই সিফ্টে আট থেকে দশ ডাম্পার আবর্জনা ধাপায় গেলেও দুর্গাপুজোর আগে থেকে সেই কাজ কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। টেন্ডার জটিলতা কাটিয়ে লক্ষ্মীপুজোর পর ফের আবর্জনা সংগ্রহ শুরু হয়। আবারও তা বন্ধ হওয়ার পথে। সোমবার মাত্র একটি ডাম্পার আবর্জনা নিয়ে গিয়েছে। অথচ, প্রতিদিন পানিহাটিতে গড়ে ১৬০ থেকে ১৭০ টন আবর্জনা তৈরি হয়। বর্তমানে অমরাবতী মাঠে প্রায় ১০০ ডাম্পার, বি টি রোডে ৪০ ডাম্পার, নীলগঞ্জ রোডে ৩০ ডাম্পার ও বসাক বেডিং লাগোয়া রাস্তায় ২০ ডাম্পার আবর্জনা জমে রয়েছে। ‘স্টক পয়েন্টে’ জায়গা না থাকায় ওয়ার্ড থেকে আবর্জনা সংগ্রহ বন্ধ। সাধারণ মানুষ তাই ক্ষোভে ফুঁসছে।কলকাতা পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, ধাপার যে জায়গায় বিধাননগর পুরসভা, নিউটাউন কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথরিটি, নব দিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ অথরিটি ময়লা ফেলে, সেখানেই পানিহাটির আবর্জনা ফেলতে বলা হয়েছে। কোনও পুরসভাকে আবর্জনা ফেলতে বারণ করা হয়নি। পানিহাটি থেকে সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় ২,৪৭৭ মেট্রিক টন ও অক্টোবর মাসে ১,৯৬৭ মেট্রিক টনের বেশি কঠিন বর্জ্য এসেছে। এখনও আসছে। তবে পানিহাটির পুরকর্তাদের দাবি, ধাপার যে জায়গায় ময়লা ফেলা হয়, সেখানে আর জায়গা নেই। জমে থাকা আবর্জনা প্রক্রিয়াকরণ না হওয়া পর্যন্ত বেশি গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ওই জায়গায় জয়েন্ট ইনস্পেকশনও হয়েছে। সর্বস্তরে সমস্যার কথা জানানোর পাশাপাশি পুরসভা নতুন জায়গার খোঁজও শুরু করেছে। পুরর চেয়ারম্যান মলয় রায় বলেন, ‘আমরা সব স্তরে এই পরিস্থিতির কথা জানিয়েছি।’