বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
২০০৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর। বর্ষবরণের রাতে ওয়েলিংটনে ইভটিজিংয়ের হাত থেকে এক মহিলাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের বাহিনীর পাঁচ কনস্টেবলের হাতে প্রহৃত হয়েছিলেন কলকাতা পুলিসের টালিগঞ্জ ট্রাফিক গার্ডের তৎকালীন সার্জেন্ট বাপি সেন। তখনও সোশ্যাল মিডিয়া আসেনি। ফলে আর জি করে অভয়ার ঘটনার প্রতিবাদের মতো রাত দখলের ঘটনা হয়নি সেদিন। কিন্তু বর্ষবরণের রাতে খাস কলকাতায় পুলিস কর্মীদের হাতে এক পুলিস অফিসার খুনের বিরল ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা নাগরিক সমাজকে।
অভিযুক্ত পাঁচজন কনস্টেবলের দ্রুত শাস্তির দাবিতে তখন সোচ্চার হয়েছিল নাগরিক সমাজ। পরিস্থিতি বিচার করে বাপি সেনের খুনের মামলার বিচারপর্বে শুনানি করতে হয়েছে প্রতিদিন। এখন সেই পদ্ধতি মেনেই আর জি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলার বিচার চলছে। সত্যি, এ এক অদ্ভুত সমাপতন! এক লহমায় অভয়া আর সার্জেন্ট বাপি সেন খুনের মামলা একই সারিতে উঠে এল, বলছেন বাপি সেন মামলার সঙ্গে যুক্ত তৎকালীন গোয়েন্দা অফিসার।
শিয়ালদহ আদালত সূত্রে খবর, আর জি কর কাণ্ডের বিচার শুরু হয়েছে ১১ নভেম্বর। এখন থেকে সপ্তাহে সোম থেকে শুক্রবার, প্রতিদিন শুনানি হবে এই মামলার। পুলিসের একাংশ বলছে, শুধু রাজ্য নয়, গোটা দেশই এই নৃশংস ঘটনার দ্রুত শাস্তি চাইছে। ফলে নাগরিক সমাজের এই দাবিকে সম্মান জানিয়ে দ্রুত শুনানির পথে হাঁটছে আদালত। তবে বাপি সেন হত্যা মামলার শুনানি হয়েছে সিটি সেশন কোর্টের ১২ নম্বর বেঞ্চে। আর জি কর কাণ্ডের শুনানি চলছে শিয়ালদহ আদালতে। আর একটা তফাৎ রয়েছে, সেটি হল আর জি কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্বে সিবিআই। অন্যদিকে বাপি সেন মামলার দায়িত্বে ছিল কলকাতা পুলিস।
সিটি সেশন কোর্ট টানা শুনানি শেষে অভিযুক্ত পাঁচ পুলিস কনস্টেবলকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টও ওই সাজা বহাল রেখেছিল। সুপ্রিম কোর্ট নিম্ন আদালতে দোষী প্রমাণিত পাঁচ পুলিসকর্মীর আবেদন শুনতেই চায়নি। এখন অভয়া কী বিচার পায়, সেটাই দেখার?