যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
১৯৪৫ সালে আশ্রম প্রতিষ্ঠাতা স্বামী সত্যানন্দদেব সারদা মায়ের প্রতিকৃতিকে দুর্গা রূপে পুজোর প্রচলন করেন। তাঁর উপলব্ধিতে সারদামণি কোনও সাধারণ মা নন। তিনি স্বামী বিবেকানন্দের বর্ণিত ‘জ্যান্ত দুর্গা’। তিনি লক্ষ্মী। তিনি সরস্বতী। ১৯৫৫ সাল থেকে সারদা মায়ের দ্বিভুজা মৃন্ময়ী মূর্তিকেই দুর্গাপুজোর সময় দশভুজা দুর্গা রূপে পুজো করা হয়। বরানগর রামকৃষ্ণ আশ্রমে ১৯৫৮ সাল থেকে সারদা মূর্তিতে দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। নিত্য পূজিতা সারদা মায়ের মূর্তিটিকেই লক্ষ্মী ও সরস্বতী রূপে পুজো করা হয়ে থাকে এখানে। আশ্রম প্রতিষ্ঠাতা স্বামী সত্যানন্দদেব একদা যে ভাব, ভক্তি ও প্রাণের অনুরাগ দিয়ে বরানগর শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রমে সারদা রূপে দুর্গার পুজো শুরু করেছিলেন, তা আজও অব্যাহত। আশ্রমের তরফে স্বামী সত্যপ্রকাশানন্দ শনিবার জানান, প্রথা মেনে এখনও প্রতি বছর দশমীর দিন ঘট নিরঞ্জনের পর দুপুরে আশ্রম প্রাঙ্গণে লাঠি খেলা, তলোয়ার খেলা, ধুনুচি নাচ ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হয়। তাতে অংশ নেন বিভিন্ন সন্ন্যাসী, ব্রহ্মচারী ছাড়াও আশ্রমিকরা। এসব দেখতে ভিড় জমান দূরদুরান্ত থেকে আসা বহু মানুষজন।