যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
২০২১ সালে ইউনেস্কোর ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কলকাতার দুর্গাপুজো। তাই এবারের শারদোৎসবের মেজাজ যেন একটু আলাদা। খোদ ইউনেস্কোর প্রতিনিধি দল ঘুরে গিয়েছে মণ্ডপে মণ্ডপে। শুধু তাই নয়, কলকাতার দুর্গাপুজো নিয়ে এবার বিদেশিদের উৎসাহ কার্যত চরমে। তৃতীয়া থেকেই তিলোত্তমার ইতিউতি চোখে পড়ছে বিদেশি পর্যটকদের। কেউ কেউ তো রীতিমতো বাঙালি সাজে অপেক্ষমান ঠাকুর দেখার লাইনে! সরকারি তথ্য বলছে, পঞ্চমী পর্যন্ত ভিন দেশ থেকে অন্তত ২০ হাজার পর্যটক এসেছেন শহরে। সপ্তাহান্তে আসতে চলেছে আরও কয়েক হাজার। কলকাতা বিমানবন্দরের তথ্য বলছে, গত দু’সপ্তাহে কমপক্ষে ৩৭ হাজার মানুষ বিদেশ থেকে এসেছেন। এদের মধ্যে একটা বড় অংশই পর্যটক।
শুধু তা-ই নয়, দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে অবাঙালিদের কলকাতায় দুর্গাপুজো দেখতে আসার ধুম লেগেছে। তাঁদের সংখ্যাও কমপক্ষে হাজার দশেক। এহেন দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য এবারই প্রথম পুজো দেখার বিশেষ পাসের বন্দোবস্ত করেছে পর্যটন দপ্তর। যাতে তাঁরা ভিড় এড়িয়ে মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারেন। প্রায় ৪০টি প্যান্ডেলের সেই পাস স্বীকৃত পর্যটন সংস্থা এবং হোটেলগুলিই অনলাইনে ইস্যু করছে। ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর অপারেটর্সের রাজ্য সভাপতি দেবজিৎ দত্ত জানাচ্ছেন, ষষ্ঠীর বিকেল পর্যন্ত এরকম একশোর বেশি পাস ইস্যু হয়েছে। আশা করছি, আগামী বছরে বিদেশ থেকে প্রচুর পর্যটক দুর্গাপুজো দেখতে আসবে।
অন্যদিকে, পুজোয় এবার লম্বা ছুটি। ইতিমধ্যেই বাক্সপ্যাঁটরা গুছিয়ে বেরিয়ে পড়েছে আম বাঙালি। কাশ্মীর থেকে চারধাম, পাহাড় থেকে সমুদ্র—গন্তব্য নানাদিকে। তবে দেবজিৎবাবু জানাচ্ছেন, কোভিড উত্তর পরিস্থিতিতে এবার বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। শিলংয়ের দিকে প্রায় কোনও হোটেল খালি নেই। পর্যটন সংস্থা কুণ্ডু স্পেশালের কর্ণধার সৌমিত্র কুণ্ডু জানাচ্ছেন, এবার সবথেকে বেশি চাহিদা কাশ্মীর ও লে-লাদাখ ট্যুরের। তালিকায় তারপরই রয়েছে রাজস্থান, আন্দামান। এই ট্যুরগুলির বুকিং দু’ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, এখন ঠান্ডা কম থাকায় চারধাম যাত্রার চাহিদাও তুঙ্গে। এদিকে, ঘরের পাশে পাহাড়ে সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে গাড়ি। দার্জিলিং-সিকিমের অফবিট এবং অ্যাডভেঞ্চার পর্যটনে ইতিমধ্যে পরিচিত নাম ‘অল্টিচিউড অ্যাডভেঞ্চার হলিডেজ’। তাদের মুখপাত্র শ্রেয়সী রায় জানাচ্ছেন, হোটেল বা হোম স্টেতে ঘর এখনও খালি আছে। কিন্তু গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। প্রচুর গাড়ি প্যাকেজ নিতে চাইছে না। উত্তর সিকিমেও এই নিয়ে সমস্যা আরও বেশি।