কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুসারে, হোটেল, গেস্ট হাউস বা ফ্ল্যাট বিদেশি নাগরিকদের ভাড়া দিলে ‘সি ফর্ম’ স্থানীয় থানায় জমা দিতে হয়। এই ‘সি ফর্ম’ কী? এটি বিদেশি নাগরিকদের তথ্য সম্বলিত একটি ফর্ম, যাতে বিদেশি নাগরিকের নাম, তিনি কোন দেশের বাসিন্দা, কেন ভারতে এসেছেন, তাঁর বাড়ির ঠিকানা, পাসপোর্ট নম্বর, যোগাযোগের নম্বর—এমন সব তথ্য উল্লেখ করতে হয়।
কিন্তু অধিকাংশ কলকাতার বাড়িওয়ালা, হোটেল, গেস্ট হাউস মালিক এই নিয়ম মানছেন না। যেমন, সম্প্রতি যোধপুর পার্কের এক গেস্ট হাউসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এক ব্রিটিশ মহিলা পর্যটক। এই ঘটনায় ওই গেস্ট হাউসের মালিকের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিস। যাতে দোষী প্রমাণিত হলে আট বছরের জেল হতে পারে।
কলকাতা শহরের লেক, রবীন্দ্র সরোবর, পূর্ব যাদবপুর, পঞ্চসায়র, যাদবপুর, আনন্দপুরের মতো এলাকার অধিকাংশ হোটেল, গেস্ট হাউস ও বাড়ির মালিকদের এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে চিকিৎসার প্রয়োজনে পূর্ব যাদবপুর, পঞ্চসায়রের গেস্ট হাউস, বাড়িতে প্রচুর বাংলাদেশি নাগরিকরা থাকেন। আবার আনন্দপুর, কসবা, যাদবপুরের মতো এলাকায় নাইজিরীয়রা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকছেন। তথ্য গোপন করলে আগামী দিনে এই ফ্ল্যাট মালিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবে কলকাতা পুলিস। গোয়েন্দাদের দাবি, অনলাইনে একাধিক সাইট ব্যবহার করে কলকাতার এ সব এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিচ্ছেন বিদেশি নাগরিকরা। তাই কলকাতায় এটিএম জালিয়াতদের এত বাড়বাড়ন্ত! গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, জঙ্গিরা এর সুযোগ নিতে পারে।