কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
সোমবার সন্ধ্যায় পুরভবনে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ডেপুটি মেয়র কেইআইপি’র কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাদের স্পষ্টভাষায় বললেন, হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ হয়েছে। অথচ, কলকাতা পুর প্রশাসন তার কোনও সুফল পায়নি। কারণ, কেইআইপি’র দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা নিজেদের খেয়ালখুশি মাফিক কাজ করেছেন। পুরসভার যে মূল বিভাগগুলি রয়েছে, সেগুলির সঙ্গে কোনওরকম সমন্বয় না রেখেই কাজ করেছেন ওই আধিকারিকরা। যেকারণে এখন একাধিক জায়গায় গাফিলতি ধরা পড়ছে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শুধু টাকাপয়সাই খরচ হয়েছে। মেয়রও বলেন, তাঁর ওয়ার্ডে এমন পাইপ বসানো হয়েছে যে এখনই তা খারাপ হতে শুরু করেছে। নতুন করে পাইপ বসাতে হচ্ছে। কেইআইপি এত টাকার কাজ করেও কোনও সুবিধা দিতে পারেনি। বরং, ত্রুটিপূর্ণ কাজ করায় মানুষের ভোগান্তি হয়েছে।
পুরসভার অধীনে কেইআইপি প্রকল্পে শহরের নিকাশি পরিকাঠামো উন্নয়ন, খাল সংস্কার, বস্তি উন্নয়ন, জঞ্জাল অপসারণের কাজ হয় ২০০২ থেকে ২০১৩’র মধ্যে। চুক্তিমাফিক এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক প্রকল্পের ক্ষেত্রে ৬৪.৫ শতাংশ, রাজ্য ১৮.৫ শতাংশ ও কলকাতা পুরসভা ১৭.৩ শতাংশ ব্যয়বহন করে। দেখা যায়, নিকাশি পরিকাঠামোর কাজ যে এলাকাগুলিতে হয়েছে, সেই এলাকাগুলির মধ্যে বেহালার অবস্থাই সবথেকে খারাপ। বর্তমানে বৃষ্টি হলে জলে থই থই হয়ে যায় গোটা এলাকা। নিকাশি ব্যবস্থা অত্যন্ত খারাপ ও ত্রুটিপূর্ণ হওয়াতেই পরিস্থিতি সেখানে বদলায়নি বলে পুরভার অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে ধরা পড়ে। সেই বিষয়টিও এদিন বৈঠকে উঠে আসে। এমনকী, বর্তমানে কেইআইআইপি প্রকল্পের অধীনে চলা পানীয় জল সরবরাহ এবং নিকাশি পরিকাঠামো নিয়েও অতীনবাবু সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাদের একহাত নেন। তিনি বলেন, এরকম অব্যবস্থা কোনও বিভাগের নেই। চূড়ান্ত গাফিলতির জন্য নাগরিকরা সমস্যায়।
এর পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে মেয়র স্পষ্টভাষায় সবক’টি বিভাগের ডিজি-কন্ট্রোলিং অফিসারকে বলে দিয়েছেন, বকেয়া থাকা সব কাজ শেষ করে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঠিকাদারদের বিল জমা করতে হবে। এখনও রাজ্য সরকারের অনুমোদনে আসা ৪০০ কোটি টাকা পুর কোষাগারে পড়ে রয়েছে। তা যাতে কোনওভাবেই ফেরত না যায়, সেব্যাপারে সতর্ক থাকতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ সালে অনুমোদনে আসা টাকার মধ্যে ৩০০ কোটি টাকা রাজ্যের কাছে ফেরত গিয়েছিল। যদিও গত ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে মাত্র ১৪ কোটি টাকা ফেরত গিয়েছে। তবে সব কাজ যাতে দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র।