বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ

ধুঁকছে কোষাগার, ভরসা সেই সরকারি সম্পত্তি বিক্রি, ২ লক্ষ কোটি টার্গেট মোদির

সমৃদ্ধ দত্ত, নয়াদিল্লি: সরকারি সম্পত্তি বিক্রি আছে—এটাই বোধহয় এখন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধান ট্যাগলাইন হওয়া উচিত। উৎপাদন ক্ষেত্র কার্যত শুয়ে পড়েছে, ডলারের নিরিখে টাকার বিনিময় মূল্য প্রতিদিন বাড়ছে, মূল্যবৃদ্ধি আকাশছোঁয়া। ফলে, রাজকোষ ভাঁড়ে মা ভবানী। তাহলে উপায়? সরকারি সম্পত্তি বিক্রি! প্রশ্ন উঠতেই পারে, এতদিন তো কেন্দ্রীয় সংস্থা বিক্রি করেই রাজকোষ ভরার প্ল্যানিং ছিল মোদি সরকারের? এখন তাহলে কী হল? উত্তর লুকিয়ে আছে ব্যর্থতার হিসেবেই। দেখা যাচ্ছে, বিলগ্নিকরণ বা সংস্থা বিক্রির যে টার্গেট গত কয়েক বছর ধরে কেন্দ্র নিয়ে এসেছে, তার ধারেকাছেও পৌঁছনো যাচ্ছে না। চলতি অর্থবর্ষের বাজেটেই তো টার্গেট ছিল ৫০ হাজার কোটি টাকার। আর ডিসেম্বর পর্যন্ত কত টাকা আয় হয়েছে? ৮৬২৪ কোটি! অর্থাৎ, সোজা কথায় ওইসব সংস্থা বিক্রি করতে ব্যর্থ হচ্ছে কেন্দ্র। লাভজনক শুধুমাত্র সম্পত্তি বিক্রি। আর তাই এবার ওই ফর্মুলাতেই জোর দিয়েছে ভারত সরকার। এই ‘উদ্যোগে’ প্রতি বছরের নতুন টার্গেট ২ লক্ষ কোটি টাকা।
স্বাধীনতার পর নতুন ভারতের নির্মাণপর্বে অসংখ্য সরকারি সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠান গঠন করে ভারতকে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে এগিয়ে দিয়েছিলেন জওহরলাল নেহরু, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, ইন্দিরা গান্ধী। সেই সময়ই হয়েছিল বিপুল কর্মসংস্থান এবং শিল্পকাঠামো নির্মাণ। পাশাপাশি অর্থনীতির মধ্যে প্রবেশ করেছিল সরকারের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণও। সেই ফাঁস শিথিল করেছিলেন মনমোহন সিং-নরসিমা রাও জুটি। কিন্তু উদারীকরণের হাওয়া আনলেও সরকারি সংস্থা ও সম্পদের কার্যকারিতা তাঁরা উপেক্ষা করেননি। অটলবিহারী বাজপেয়ির নেতৃত্বে প্রথমবার বিজেপি ক্ষমতাসীন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিনব এক মন্ত্রকের জন্ম হয়—বিলগ্নিকরণ মন্ত্রক। অর্থাৎ একটা আস্ত মন্ত্রকের কাজই হল সরকারি সংস্থা বিক্রি করা। বাজপেয়ির আমলে যা ছিল কৌশলগত বেসরকারিকরণ, মোদি সরকারের কাছে সেটাই আয়ের সহজতম পন্থা। সেখানেও সঙ্গী ব্যর্থতা। সরকারি সংস্থা ও ব্যাঙ্ক অথবা বিমা কোম্পানি বিক্রি হচ্ছে না। তাহলে রাজকোষ ভরানোর উপায় বলতে কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে থাকা সরকারি জমিবাড়ি বিক্রি কিংবা ব্যবসায়িক কাজে লিজ। ঩এই লক্ষ্যেই ঘোষণা হয়েছিল ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন। করোনাকালে টার্গেট ছিল ৫ বছরের মধ্যে ৬ লক্ষ কোটি টাকা আয়ের। কিন্তু ২০২৪ সাল পর্যন্ত সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করে আয় হয়েছে ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার কোটি টাকা। মার্চ মাসে প্রথম দফার মনিটাইজেশন প্রকল্প সমাপ্ত হচ্ছে। এবার আরও উচ্চাশা নিয়ে নামতে চলেছে মোদি সরকার। প্রতি বছরেই ২ লক্ষ কোটি টাকা করে আয়ের টার্গেট। সেই লক্ষ্যপূরণেই আসতে চলেছে এনএমপি-টু। ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইনের দ্বিতীয় পর্ব। 
কেন এই আগ্রাসী উদ্যোগ? দাবি সত্ত্বেও জিডিপি ৭ শতাংশ, ৮ শতাংশ পার হয়নি। রপ্তানি তলানিতে। টাকার মূল্যের পতন এতটাই যে, ডলার বিনিময়ের নিয়ন্ত্রণ শিথিল করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। অতএব ভরসা মনিটাইজেশন। অর্থাৎ সরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলির স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি বা লিজ। যেমন রেল, এয়ারপোর্ট, বন্দর, টেলিকমের সম্পদ অগাধ। সেইসব সম্পত্তি বিক্রি কিংবা ব্যবহারই পাখির চোখ। ভারতীয় সমাজে এই প্রবণতা নতুন নয়। উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি বিক্রি করে জমিদারির ঠাঁটবাঁট চালানোর প্রথা প্রাচীনই বটে!
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

গৃহে শুভ অনুষ্ঠানের আয়োজন। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থব্যয় বাড়তে পারে। মনের অস্থিরতা-উত্তেজনা দমন করুন।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৬.০৮ টাকা৮৭.১৭ টাকা
পাউন্ড১০৫.৪২ টাকা১০৮.৩৩ টাকা
ইউরো৮৮.৮৮ টাকা৯১.৫৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা