নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে কর্মীদের বদলির ব্যাপারে নতুন করে নির্দেশিকা দিল অর্থমন্ত্রক। তাদের বক্তব্য, ব্যাঙ্কগুলি বদলি সংক্রান্ত যে নীতি নিয়েছে এবং কর্মী বদলি করছে, তা নিয়ে বহু অভিযোগ জমা পড়ছে মন্ত্রকে। কর্মীদের দাবিকে মান্যতা দিয়েই বদলি নীতি আনতে হবে, জানিয়েছে তারা।
অর্থমন্ত্রকের বক্তব্য, প্রতিটি ব্যাঙ্কের রিজিয়ন, জোন, সার্কেল প্রভৃতি নির্দিষ্ট করে বলা আছে। কোন জায়গায় কর্মীরা কত দিন থাকতে পারবেন, সেই বিষয়েও ইতিমধ্যেই স্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া আছে। কোন সময়ে বদলি করা হবে, তাও স্পষ্ট করা আছে। সাধারণত জুন মাসের আগেই বদলির কথা বলা আছে। এখন অর্থমন্ত্রক তাদের নির্দেশিকায় জানাচ্ছে, বদলি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে হবে। প্রতিবছর ‘সিনিয়রিটি’র ভিত্তিতে তালিকা প্রকাশ করতে হবে এবং শূন্যপদ অনুযায়ী সেই তালিকার ভিত্তিতে বদলি করতে হবে। যদি তা না-হয়, তাহলে সেই সংক্রান্ত তথ্য রাখতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে ব্যাঙ্কগুলিকে, নির্দেশ দিয়েছে অর্থমন্ত্রক।
সেখানে কর্মীরা যাতে বদলির ক্ষেত্রে তাঁর পছন্দের জায়গা উল্লেখ করতে পারেন, তার ব্যবস্থা রাখতে হবে। ওই অনলাইন পোর্টালে ব্যাঙ্কগুলি তাদের বদলি নীতি উল্লেখ করতে পারে এবং সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা বা বিজ্ঞপ্তি তুলে ধরতে পারে। বদলির ক্ষেত্রে যাতে কোনওভাবেই গ্রাহক পরিষেবায় সমস্যা না-হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে, জানিয়েছে অর্থমন্ত্রক। কিছু ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক ‘সমস্যাবহুল এলাকা’ হিসেবে কোনও এলাকাকে চিহ্নিত করতে পারে। সেই এলাকায় যাঁরা কাজ করবেন, সেখানে তাঁদের কাজের মেয়াদ শেষ হলে, তাঁদের বদলির ব্যবস্থা করতে হবে এবং পছন্দমতো কাজের জায়গা বেছে নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। বিয়ে, অসুস্থতা, মাতৃত্বকালীন সময়, সদ্যোজাত সন্তানের দেখভাল, স্বামী বা স্ত্রীর কর্মস্থল, বাসস্থান থেকে বহু দূরের পোস্টিং, প্রভৃতি দিকগুলিকে নজর দিতে হবে, জানিয়েছে অর্থমন্ত্রক। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মহিলা কর্মীদের ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব বাড়ির কাছে পোস্টিং দিতে হবে এবং বদলির ক্ষেত্রে তাঁদের নিরাপত্তার দিকটিও নজরে রাখতে হবে। এই বিষয়গুলির উপর ভিত্তি করে যাতে ব্যাঙ্কগুলি তাদের বদলি নীতির পর্যালোচনা করে, তার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। সেই নীতি তৈরি হওয়ার পর, তা মন্ত্রকের পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।