দক্ষিণবঙ্গ

সিসি ক্যামেরাতেই জব্দ, বাঁকুড়ার সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে কমেছে ফড়েদের দৌরাত্ম্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: সিসি ক্যামেরাতেই জব্দ! বাঁকুড়ার সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে অনেকটাই কমেছে ফড়েদের দৌরাত্ম্য। জেলার ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে ঘুরে এমনই দাবি করলেন খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকরা। তাঁদের মতে, ফড়েরা এলাকায় পরিচিত মুখ। ফলে সিসি ক্যামেরায় বন্দি হওয়ার আশঙ্কায় তারা এবার ধান ক্রয় কেন্দ্রের চৌহদ্দির মধ্যে ঘেঁষতে চাইছে না। তবে তাদের লোকজন ক্রয় কেন্দ্র চত্বরে ঘোরাফেরা করছে কি না, সেদিকে খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকরা নজর রেখেছেন। একই ব্যক্তি বারবার ক্রয় কেন্দ্রে যাতায়াত করলেই সংশ্লিষ্টের ব্যাপারে আধিকারিকরা খোঁজ নিচ্ছেন। তবে স্থায়ী ক্রয় কেন্দ্রের বাইরেও সমবায়, স্বনির্ভর গোষ্ঠী সহ অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে খাদ্যদপ্তর ধান কিনছে। সেখানে ফড়েরা বেনামে ধান বিক্রি করছে কি না, তা খোঁজ নিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত।   
বাঁকুড়ার খাদ্য নিয়ামক শেখ আলিমুদ্দিন বলেন, স্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ মিলিয়ে জেলায় মোট ৪১টি ধান ক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। তারমধ্যে ২৮টি কেন্দ্রে আমরা সিসি ক্যামেরা বসিয়েছি। কেন্দ্রপিছু পাঁচটি করে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। জেলা থেকেও আমরা ওইসব ক্যামেরায় ওঠা ফুটেজে নজরদারি চালাচ্ছি। সিসি ক্যামেরা লাগানোর ফলে ধান ক্রয় কেন্দ্রে ফড়েদের দৌরাত্ম্য কমেছে। সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম সহায়কমূল্যে যাতে শুধুমাত্র প্রকৃত চাষিরাই ধান বিক্রি করতে পারেন, তা আমরা নিশ্চিত করতে চাইছি। তারজন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। স্থায়ী কেন্দ্রের পাশাপাশি দপ্তর নিয়োজিত সংস্থাগুলির ধান কেনার উপরেও নজরদারি বজায় রয়েছে। 
জেলা খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি খরিফ মরশুমে বাঁকুড়ায় মোট ২ লক্ষ ৯২ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হবে। তারমধ্যে ২ লক্ষ ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন ধান খাদ্য দপ্তর সরাসরি কিনবে। বাকি ধান রাজ্যের অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য নিগম, বেনফেড, নাফেডের মতো সংস্থাগুলির মধ্যমে কেনা হবে। জেলায় এবার ৩৪টি স্থায়ী ও সাতটি ভ্রাম্যমাণ ধান ক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সমবায়, স্বনির্ভর গোষ্ঠী মিলিয়ে মোট ১৮০টি প্রতিষ্ঠান ধান কিনছে। জেলার ৪৩টি রাইস মিলে ওই ধান পৌঁছে যাচ্ছে। ধান কেনার জন্য গোষ্ঠীর সদস্য ও সমবায়ের লোকজনকে খাদ্যদপ্তরের তরফে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ধানের গুণগত মান যাচাইয়ের প্রশিক্ষণও আলাদাভাবে ক্রয়ের সঙ্গে যুক্ত সকল কর্মীকে দেওয়া হয়। তারফলে এবার সমস্যা বা অভিযোগ অনেক কম হচ্ছে বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। তবে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে ফড়েদের দৌরাত্ম্য কমার বিষয়টি নিয়েই বর্তমানে খাদ্যদপ্তরের অন্দরে সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে। বিষয়টি নিয়ে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের কর্তারাও খোঁজ নিচ্ছেন।  
উল্লেখ্য, বাম আমলে চাষিরা ফসলের ন্যায্য দাম পেতেন না। ফড়ে ও মহাজনরা গ্রামগঞ্জে কার্যত জলের দরে ধান কিনত। মড়াই বা গোলায় পাঁচ-ছ’মাস ধান রাখতে পারলে চাষিরা কিছুটা দাম বেশি পেতেন। তবে সব চাষির পক্ষে তা সম্ভব হতো না। কারণ তাঁরা ধারদেনা করে চাষ করতেন। ফলে বাধ্য হয়ে তাঁরা ফসল ওঠার পরেই তা বিক্রি করে দিতেন। বর্তমান সরকার ন্যূনতম সহায়কমূল্যে ধান বিক্রির ব্যবস্থা করলেও বেশ কিছু ফাঁকফোকর রয়ে গিয়েছে। সেই ফাঁক গলেই মধ্যস্বত্বভোগীরা মুনাফা লোটার চেষ্টা করে বলে চাষিদের অভিযোগ।
1d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.৯৭ টাকা৮৬.৭১ টাকা
পাউন্ড১০৫.৭০ টাকা১০৯.৪৩ টাকা
ইউরো৮৭.৫৩ টাকা৯০.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা